নয়াদিল্লি: রাজনীতি থেকে অবসরের ইঙ্গিত দিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী গিরিরাজ সিংহ। নানা সময়ে বেফাঁস মন্তব্য করে সমালোচনার মুখে পড়া বিজেপির এই সাংসদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির দ্বিতীয় ইনিংস শেষে রাজনীতির ময়দান থেকে ছুটি নিতে পারেন বলে জানিয়েছেন। সামনের বছর নির্ধারিত বিহার বিধানসভা নির্বাচনে তাঁকে মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী করার জল্পনা ঘিরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের মুখে এই ইঙ্গিত দেন গিরিরাজ। বলেন, আমি সেইসব পার্টিকর্মীর মধ্যে পড়ি যাঁরা জম্মু ও কাশ্মীরের ভারতে অন্তর্ভুক্তির জাতীয়তাবাদী স্বপ্নপূরণে রাজনীতিতে নেমেছিলাম, জনজীবনে যোগদান করেছিলাম। কাশ্মীরের ভারতভুক্তির জন্য শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জি জীবন বলিদান দিয়েছিলেন। মোদি সেই লক্ষ্য অর্জন করেছেন। তিনি আরও বলেন, ক্ষমতা, পদের লোভে, বিধায়ক, এমপি হওয়ার জন্য রাজনীতিতে আসিনি। তাই এখন আমার রাজনৈতিক ইনিংস শেষের দিকে এগচ্ছে বলে মনে করি। মোদির চলতি ইনিংস সম্পূর্ণ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই তার অবসান হতে পারে।
প্রসঙ্গত, প্রধানমন্ত্রী মোদির বর্তমান মেয়াদ শেষ হচ্ছে ২০২৩ সালে।
২০১৪-র লোকসভা নির্বাচনে বিহারের নওয়াদা আসনে জয়ী গিরিরাজকে ২০১৯-এ পাঠিয়ে দেওয়া হয় বেগুসরাইয়ে। সেখানে তিনি প্রায় ৪ লক্ষ ভোটের ব্যবধানে নিকটতম সিপিআই প্রার্থী জেএনইউ প্রাক্তন ছাত্রনেতা কানহাইয়া কুমারকে হারিয়ে নির্বাচিত হন।
বেশ কিছুদিন ধরেই বিহারের রাজ্য-রাজনীতিতে জল্পনা চলছে যে, মুখ্যমন্ত্রী পদে কাকে তুলে ধরা হবে, এই প্রশ্নে শাসক এনডিএ-তে মতভেদ রয়েছে। নীতীশকেই ফের মুখ্যমন্ত্রী মুখ হিসাবে চূড়ান্ত করার ব্যাপারে পরস্পরবিরোধী মত আছে জোট শরিকদের মধ্যে। যদিও বিজেপি, নীতীশ শিবির-দুপক্ষই এই খবর খারিজ করেছে। নীতীশ গত সপ্তাহে বলেন, কিছু লোকের মনে হতেই পারে যে, জোটে অশান্তি চলছে, কিন্তু বাস্তবে এমন কিছুই নেই। নীতীশের পক্ষে ব্যাট ধরেন উপমুখ্যমন্ত্রী তথা বিজেপি নেতা সুশীল মোদি। তিনি ট্যুইট করেন, ক্যাপ্টেনই যখন চার-ছয় মেরে বিপক্ষকে ইনিংসে হারাচ্ছেন, তখন তাঁকে বদলানোর প্রশ্ন কোথায়!