ভোপাল (মধ্যপ্রদেশ): সামনে এগিয়ে যাওয়ার সময় হয়েছে। গতকাল থেকে শুরু হওয়া জল্পনায় ইতি টেনে কংগ্রেস থেকে মঙ্গলবার ইস্তফা দিয়ে বললেন জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া। কংগ্রেসের অন্তর্বর্তী সভানেত্রী সনিয়া গাঁধীকে পাঠানো ইস্তফাপত্রে মধ্যপ্রদেশ কংগ্রেসের যুবনেতা লিখেছেন, গত ১৮ বছর ধরে কংগ্রেসের প্রাথমিক সদস্য থাকার পর এখন সামনের দিকে এগনোর সময় এসেছে। ভারতের জাতীয় কংগ্রেসের প্রাথমিক সদস্যপদ ছাড়ছি। আপনি নিশ্চয়ই অবগত আছেন যে, গত বছর থেকে এই পথই সামনে চলে এসেছে নিজে নিজেই। গতকাল সিন্ধিয়াপন্থী কংগ্রেস বিধায়করা কমলনাথের নেতৃত্বে দলের সরকার থেকে ইস্তফা দিচ্ছেন বলে তিনি নিজেই ইঙ্গিত দিয়েছিলেন। আজব তাঁর অনুগামী ১৯ কংগ্রেস বিধায়কও ইস্তফা দিয়ে বিপাকে ফেলে দিয়েছে কমলনাথ সরকারকে।


ট্যুইটারে পদত্যাগপত্রটি পোস্ট করেছেন তিনি। তাতে বলা হয়েছে, শুরু থেকে আমার যে উদ্দেশ্য, লক্ষ্য ছিল, অর্থাত আমার রাজ্যের ও দেশের মানুষের সেবা করা, আজও তাই-ই আছে। কিন্তু এই দলে থেকে আর সেটা করতে সক্ষম নই বলে আমার বিশ্বাস। আমার জনগণ ও কর্মীদের আশা-আকাঙ্খার প্রতিফলন ঘটাতে, তার বাস্তবায়নে নতুন করে শুরু করা যায় কিনা, সেটাই সবচেয়ে সঠিক ভাবনা বলে আমার বিশ্বাস।
‘দেশের সেবা করার জন্য তাঁকে একটা মঞ্চের সুযোগ দেওয়ায়’ সনিয়া ও অন্য কংগ্রেসি সহ নেতাদেরও ধন্যবাদ দিয়েছেন গুনার প্রাক্তন কংগ্রেস এমপি।
সিন্ধিয়া ইস্তফা দিতে না দিতেই সনিয়া গাঁধী তাঁকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্তে সিলমোহর দেন। এআইসিসির সাধারণ সম্পাদক কে সি বেনুগোপাল এক বিবৃতি পেশ করেন। তাতে বলা হয়, দলবিরোধী কাজকর্মের জন্য জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়াকে কংগ্রেস থেকে বহিষ্কার অনুমোদন করেছেন। অবিলম্বে তা কার্যকর হচ্ছে।