হাওড়া: নির্বাচন কমিশন আর দলের চেয়েও এগিয়ে মুকুল রায়! ভোটের নির্ঘণ্ট আর বিজেপির প্রার্থী তালিকা ঘোষণার আগেই, উত্তর হাওড়ায় বিধানসভা কেন্দ্রে প্রার্থীর নাম ঘোষণা করে দিলেন বিজেপির সর্ব ভারতীয় সহ সভাপতি। আর তার জেরে অস্বস্তিতে হাওড়া বিজেপি। এই ঘটনায় কটাক্ষ করেছে  তৃণমূল।


হনুমা বিহারী আর রবিচন্দ্রন অশ্বিনের ব্যাটিংয়ে ভর করে সিডনি টেস্ট নিশ্চিত হারের মুখ থেকে ম্যাচ বাঁচিয়েছে ভারত। লাল বলের ক্রিকেটে ধ্রুপদী যুগলবন্দি দেখা গেলেও, বাংলার ভোট ময়দানে এখন টি-টোয়েন্টি মেজাজ। সোমবার যার প্রতিফলন দেখা গেল, মুকুল রায়ের ভাষণে। বিজেপি সর্বভারতীয় সহ সভাপতি মুকুল রায় বলেন, মাথা ঠান্ডা রেখে লড়াই করতে হবে। যা পারবে উমেশ। বিজেপির যোগ্য প্রার্থী হিসেবে নিশ্চিতভাবে তাকে আগামী দিনে লড়াই করার জন্য এগিয়ে যেতে বলছি।


এখনও ভোটের নির্ঘণ্ট ঘোষণা হয়নি। বিজেপির তরফে প্রার্থীতালিকা নিয়ে উচ্চবাচ্য নেই। এই প্রেক্ষাপটে কি উত্তর হাওড়া বিধানসভা কেন্দ্রে প্রার্থীর নাম ঘোষণা করে দিলেন মুকুল রায়? প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে রাজনৈতিক মহলে। যদিও, হাওড়ার বিজেপি নেতারা এমনটা মানতে নারাজ।


হাওড়া সদরের বিজেপি সভাপতি সুরজিৎ সাহা বলেন, আসলে উমেশের কথা বলেননি। আমরা বিজেপি কর্মী নিঃস্বার্থ ভাবে কাজ করি। কে প্রার্থী হবে তা নিয়ে ভাবিনা। দলের স্বার্থটাই আগে দেখি। দলের জন্যই লড়ি। এনিয়ে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি তৃণমূল। হাওড়া সদরের তৃণমূল সভাপতি ভাস্কর ভট্টাচার্য বলেন, ওদের মধ্যে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব থাকতে পারে। তা থেকেই হয়তো আগেভাগে ঘোষণা।


মুকুল রায়ের মুখে যাঁর নাম শোনা গেছে, সেই উমেশ রাই উত্তর হাওড়ায় বিজেপির পুরনো নেতা। ২০১১ সালে বিধানসভা ভোটে তৃণমূলের অশোক ঘোষের কাছে হারেন তিনি। এবারে কি তাঁর ওপরই বাজি ধরছে পদ্ম শিবির?


বিজেপি নেতা উমেশ রাই বলেন, ২৫  বছর ধরে ভারতীয় জনতা পার্টির জন্য কাজ করছি। দল যদি এই কেন্দ্রে লড়াইয়ের জন্য মনোনীত করে, তিনি আশাহত করবেন না। হাওড়া উত্তর বিধানসভা কেন্দ্রে অবাঙালি ভোটারদের প্রভাব বেশি। গত লোকসভা ভোটের ফলের নিরিখে এই কেন্দ্রে, তৃণমূলের চেয়ে প্রায় তিন হাজার ভোটে এগিয়ে ছিল বিজেপি। হাওড়া উত্তরের বিধায়ক লক্ষ্মীরতন শুক্লা সম্প্রতি মন্ত্রিত্ব এবং তৃণমূলের সাংগঠনিক পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন। তবে ইস্তফাপত্রে তিনি লিখেছেন, আপাতত রাজনীতি ছাড়ছেন। ফলে তাঁর ভবিষ্যত নিয়ে জল্পনা থেকেই যাচ্ছে।