মুখ্যমন্ত্রীর উত্তরবঙ্গ সফরের মাঝেই কালিয়াগঞ্জে দলীয় বৈঠক থেকে তৃণমূলকে হারানোর ডাক মুকুলের
Web Desk, ABP Ananda | 21 Oct 2019 06:33 PM (IST)
কংগ্রেস বিধায়ক প্রমথনাথ রায়ের মৃত্যুতে খালি হয়েছে আসন। সামনেই কালিয়াগঞ্জ বিধানসভা কেন্দ্রে উপ নির্বাচন। এখন থেকেই তার রণকৌশল ঠিক করতে উদ্যোগী বিজেপি। সোমবার উত্তর দিনাজপুরের কালিয়াগঞ্জে দলের সাংগঠনিক সভায় অংশ নিয়ে তারই ব্লু প্রিন্ট তৈরির কাজ শুরু করে দিলেন বিজেপি নেতা মুকুল রায়।
কালিয়াগঞ্জ: মুখ্যমন্ত্রীর উত্তরবঙ্গ সফরের মাঝেই উত্তর দিনাজপুরের কালিয়াগঞ্জে দলের সাংগঠনিক বৈঠকে অংশ নিয়ে তৃণমূলকে হারানোর ডাক মুকুল রায়ের। ভোটে তৃণমূলই জিতবে। পাল্টা দাবি রাজ্যের শাসক-দলের। কংগ্রেস বিধায়ক প্রমথনাথ রায়ের মৃত্যুতে খালি হয়েছে আসন। সামনেই কালিয়াগঞ্জ বিধানসভা কেন্দ্রে উপ নির্বাচন। এখন থেকেই তার রণকৌশল ঠিক করতে উদ্যোগী বিজেপি। সোমবার উত্তর দিনাজপুরের কালিয়াগঞ্জে দলের সাংগঠনিক সভায় অংশ নিয়ে তারই ব্লু প্রিন্ট তৈরির কাজ শুরু করে দিলেন বিজেপি নেতা মুকুল রায়। মুকুল বলেন, ‘জনাদেশ আমাদের দিকে আছে। লোকসভা ভোটের নিরিখে আমরা এগিয়ে আছি।’ যদিও মুকুলের বক্তব্যকে গুরুত্ব দিতে নারাজ তৃণমূল শিবির। কালিয়াগঞ্জের পুরপ্রধান ও তৃণমূল নেতা কার্তিক পাল বলেছেন, ‘মুকুল রায় এলেও কোনও লাভ নেই। মমতা উন্নয়নের জোয়ারে উপ নির্বাচনে তৃণমূলই জিতবে।’ প্রসঙ্গত, উত্তরবঙ্গ সফরে রয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সফরের মাঝেই উত্তরবঙ্গের মাটিতে দাঁড়িয়ে ২১-এর বিধানসভা ভোট ও আসন্ন পুরভোটে তৃণমূলকে হারানোর ডাক দিয়েছেন মুকুল রায়। যা নিয়ে মুকুলের কটাক্ষ, ‘মুখ্যমন্ত্রী পাহাড়ে থাকুন বা সমতলে, বাংলায় জনাদেশ পরিষ্কার। ২০২১-এ মমতার সরকারের উৎখাত হবে। পুরভোটে ভোট দিতে দেওয়া হলে অধিকাংশ পুরসভায় বিজেপিই জিতবে।’ মালদা তৃণমূল কংগ্রেসের কার্যকারী সভাপতি দুলাল সরকার পাল্টা বলেছেন, ‘২০২১-এ বাংলার মানুষ আবার মমতাকেই মুখ্যমন্ত্রী করবেন। আর পুরভোট কবে হবে তা নির্বাচন কমিশন ঠিক করবে। যখনই নির্বাচন হোক না কেন, তৃণমূলই জিতবে।’ যাদবপুর থেকে জিয়াগঞ্জ, দুর্গাপুজোর কার্নিভাল থেকে রাজ্য প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে রাজ্যপালের বৈঠকের ডাক। এরকম নানা ইস্যুতে বারবার সংঘাতে জড়িয়েছে রাজভবন এবং শাসক দল। এই প্রেক্ষাপটেও ফের একবার তৃণমূলকে কটাক্ষ করেছেন মুকুল। বলেছেন, ‘রাজ্যপাল সাংবিধানিক প্রধান। তিনি জেলায় জেলায় যাবেন, আধিকারিকদের সঙ্গে কথা বলবেন এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু যেভাবে তাঁর বৈঠকে প্রশাসনিক আধিকারিকরা যাচ্ছেন না, সংবিধানের পক্ষে এটাই বড় বিপদ।’ যদিও তৃণমূল শিবির থেকে পাল্টা আক্রমণ হানা হয়েছে। মালদা তৃণমূলের কার্যকরী সভাপতি দুলাল সরকার বলেছেন, ‘ধনকড় সাহেব বিরোধী দলনেতার ভূমিকা পালন করছেন। দেখে মনে হচ্ছে কংগ্রেসের আব্দুল মান্নান নন, তিনিই বিরোধী দলনেতা। মানুষ এটাকে ভালভাবে নিচ্ছে না।’ সামনের বছর পুরসভা নির্বাচন। ভোট যত এগিয়ে আসছে, ততই বাড়ছে তৃণমূল-বিজেপি চাপানউতোর।