মুম্বই: বিমানবন্দরে জিনিপত্র তোলা এবং নামানোর কাজ। সেই শূন্যপদ পূরণ ঘিরে পদপিষ্ট হওয়ার মতো পরিস্থিতি তৈরি হল। মঙ্গলবার মুম্বই বিমানবন্দরে এই ঘটনা ঘটেছে। ঘটনাস্থল থেকে যে ছবি এবং ভিডিও সামনে এসেছে, থিকথিকে ভিড় চোখে পড়েছে তাতে। পিঠে ব্যাগ নিয়ে ইন্টারভিউ দিতে আসেন ২৫ হাজারের বেশি চাকরিপ্রার্থী। আর সেখানেই পদপিষ্ট হওয়ার মতো পরিস্থিতি তৈরি হয়। (Mumbai Airport Stampede Scare)
মঙ্গলবার মুম্বই বিমানবন্দরে 'লোডার' পদে নিয়োগের ইন্টারভিউ চলছিল। শূন্যপদ ছিল ২ হাজার ২১৬টি। আর চাকরি পেতে হাজির হন ২৫ হাজারের বেশি মানুষ। আর সেই ভিড় সামাল দিতে হিমশিম খান এয়ার ইন্ডিয়া এয়ারপোর্ট সার্ভিসেস লিমিটেডের কর্মী-আধিকারিকরা। কারণ দেশের একাধিক বিমানবন্দরে গ্রাউন্ড সার্ভিসেস পরিষেবা প্রদান করে এয়ার ইন্ডিয়া এয়ারপোর্ট সার্ভিসেস লিমিটেড। (Mumbai Airport Job)
একটি ভিডিও-য় দেখা গিয়েছে কাউন্টার থেকে ফর্ম সংগ্রহ করতে গিয়ে রীতিমতো ধস্তাধস্তি হচ্ছে চাকরিপ্রার্থীদের মধ্যে। খাবার-জল সব ছেড়ে ঘণ্টার পর ঘণ্টা লাইনে দাঁড়িয়ে ছিলেন তাঁরা। বেশ কয়েক জন অসুস্থও হয়ে পড়েন। তার পরও লাইন ছেড়ে বেরনোর সাহস পাননি। বহু দূর থেকেও চাকরি পেতে সেখানে এসে উপস্থিত হয়েছিলেন ছেলেমেয়েরা।
বিমানবন্দকে লোডার হিসেবে কর্মরত যাঁরা, মূলত বিমানে জিনিসপত্র তোলেন এবং বিমান থেকে জিনিসপত্র নামান তাঁরা। ব্যাগেজ বেল্ট এবং ব়্যাম্প ট্র্য়াক্টর অপারেট করেন। জিনিসপত্র তোলা-নামানো, খাবার সরবরাহ-সহ বিভিন্ন কাজে প্রত্যেক বিমানে অন্তত পাঁচ জন লোডারের প্রয়োজন পড়ে। বেতন হয় ২০ থেকে ২৫ হাজার টাকার মধ্যে। ওভারটাইমের বাড়তি টাকা মেলে। সব মিলিয়ে ৩০ হাজার টাকা মতো রোজগার হয় মাসে। শিক্ষাগত যোগ্যতা সাধারণ হলেও, শারীরিক শক্তির প্রয়োজন পড়ে।
সোমবার চাকরি পেতে বিমানবন্দরের বাইরে জড়ো হন BBA করা ছেলেমেয়েও। কেউ কেউ আবার পড়াশোনা ছেড়ে চাকরিতে যোগ দিতে পৌঁছন। রাজস্থান থেকে এমকম করা যুবকও পৌঁছেছিলেন সেখানে। এর আগে, গুজরাতের বাহরুচ থেকেও একই দৃশ্য উঠে আসে। সেখানে বেসরকারি সংস্থায় ১০টি শূন্যপদে যোগ দিতে প্রায় ১৮০০ চাকরিপ্রার্থী জড়ো হন। ধস্তাধস্তিতে সিঁড়ির রেলিং পর্যন্ত ভেঙে পড়ে। সেই নিয়ে কেন্দ্রকে তীব্র আক্রমণ করেছিলেন বিরোধীরা। দেশে বেকারত্বের হার কোথায় পৌঁছেছে, এতেই প্রমাণিত হয় বলে মন্তব্য করেছিলেন বিরোধীরা।