Footpath Sold in Mumbai: মাসে ১৭০০০ ভাড়া তুলতেন, শেষে ফুটপাতই বেচে দিলেন নেতা! ফুচকাওয়ালাকে ঠকানোর অভিযোগ
Mumbai News: মুম্বইয়ের মুলুন্ডের রাজনীতিক, শিবসেনা (একনাথ শিন্ডে) নেতা অবিনাশ বগুলের বিরুদ্ধে জালিয়াতির অভিযোগ তুলেছেন ফুচকা বিক্রেতা সন্তোষ বাচ্চুলাল গুপ্ত।

নয়াদিল্লি: চাইলে কি ফুটপাত তুলে বিক্রি করে দেওয়া যায়! অবিশ্বাস্য ঠেকলেও, বাণিজ্যনগরী মুম্বইয়ে এমন কাণ্ডই ঘটল। ফুচকা বিক্রেতাকে ফুটপাত বিক্রি করে দেওয়ার অভিযোগ উঠল মহারাষ্ট্রের উপমুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিন্ডের দলের এক নেতার বিরুদ্ধে। আজ নয়, দু’বছর আগেই এই ঘটনা ঘটে বলে জানা গিয়েছে। সামনে এল সম্প্রতি। (Footpath Sold in Mumbai)
মুম্বইয়ের মুলুন্ডের রাজনীতিক, শিবসেনা (একনাথ শিন্ডে) নেতা অবিনাশ বগুলের বিরুদ্ধে জালিয়াতির অভিযোগ তুলেছেন ফুচকা বিক্রেতা সন্তোষ বাচ্চুলাল গুপ্ত। ৩ লক্ষ টাকার বিনিময়ে অবিনাশ তাঁকে ফুটপাতের কিছু অংশ বিক্রি করেন বলে দাবি করেছেন সন্তোষ। (Mumbai News)
শুধু তাই নয়, ফুটপাত বিক্রি করার আগে, সেখান থেকে নেতা ভাড়াও আদায় করতেন বলে সামনে এসেছে। জানা গিয়েছে, এক দোসা বিক্রেতাকে ফুটপাত ভাড়া দিয়েছিলেন ওই নেতা। সেই বাবদ মাসে ১৭০০০ টাকা ভাড়াও নিতেন। সন্তোষ জানিয়েছেন, ২০২৩ সালে তাঁকে ফুটপাত বিক্রি করেন অবিনাশ। সেই বাবদ ভুয়ো চুক্তিও করেন। নগদে ৫০ হাজার টাকা দেন তিনি। ২.৫ লক্ষ টাকা দেন RTGS মারফত।
কিন্তু সন্তোষের দাবি, দু’বছর আগে চুক্তি হলেও, এখনও পর্যন্ত তাঁর হাতে জায়গা হস্তান্তর করেননি অবিনাশ। টাকাও ফেরত দেননি। পরে খোঁজ নিতে গিয়ে তিনি দেখেন, ফুটপাতের ওই জায়গা বিক্রি করার অধিকারই নেই অবিনাশের। ফুটপাতের ওই অংশ বৃহন্মুম্বই পুরসভার জায়গা। জালিয়াতির শিকার হয়েছেন বুঝতে পেরে চলতি বছরের শুরুতে পুলিশের দ্বারস্থ হন সন্তোষ।
সংবাদমাধ্যমে সন্তোষ বলেন, “বার বার ওঁর সঙ্গে কথা বলেই ব্যর্থ হই। শেষে পুলিশের দ্বারস্থ হই। একটি চেক দিয়েছিলেন উনি, কিন্তু সেটি ছিল ছ’মাস আগের। চেক বাউন্স করে। এর পর আর কোনও সাড়া পাইনি ওঁর কাছ থেকে।”
ফুচকা বিক্রেতা সন্তোষ জানিয়েছেন, ব্যাঙ্ক থেকে ঋণ নিয়ে ওই ৩ লক্ষ টাকা জোগাড় করেন তিনি। মায়ের গয়না বন্ধক রাখেন পরিবর্তে। পুলিশ তদন্ত শুরু করলে অবিনাশ ১.৫ লক্ষ টাকার দু’টি চেক ধরান তাঁকে। কিন্তু সেই দু’টি চেকও বাউন্স করে। তবে সন্তোষের দাবি, তদন্তেও বাধা এসেছে। তদন্ত শুরুর আগে আদালতের নির্দেশ আনতে হবে বলে তাঁকে জানিয়েছে পুলিশ।
এই গোটা বিতর্কে মুখ খুলেছেন অবিনাশ। সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন তিনি। তাঁর যুক্তি, “উনি ব্যবসার জন্য ঋণ দিয়েছিলেন আমাকে, যা আমি নগদে মিটিয়েছি।” তাঁর বিরুদ্ধে রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র হচ্ছে বলে দাবি করেছেন অবিনাশ। তবে এ নিয়ে বিতর্ক শুরু হতে শিবসেনা (একনাথ শিন্ডে)-র স্থানীয় নেতৃত্ব বিষয়টি নিয়ে হস্তক্ষেপ করেছেন। দলের তরফে তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন জগদীশ শেট্টি। কারও সঙ্গে অন্যায় হবে না বলে জানিয়েছেন তিনি।























