কলকাতা: জুনিয়রের সঙ্গে সম্পর্কের কারণে মাঝেমধ্যেই স্বামীর সঙ্গে ঝামেলা হত প্রিয়ঙ্কার। এমনটাই দাবি প্রিয়ঙ্কার প্রাক্তন জা-র। ঘটনার দিন পারিবারিক পার্টিতে দেরি করে এসেছিলেন প্রিয়ঙ্কা। এমনকী তিনি মনমরা ছিলেন বলেও দাবি করেছে তাঁর প্রাক্তন জা।
বেলঘরিয়ার তরুণ, পেশায় সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়র জুনিয়র মৃধা। মধ্যবিত্ত বাড়ির তরুণের সঙ্গে সম্পর্ক অভিজাত পরিবারের পুত্রবধূ। তারপর রহস্যজনকভাবে খুন বছর পাঁচিশের তরুণ। টানা ৯ বছরের আইনি লড়াই। শেষ পর্যন্ত গ্রেফতার প্রেমিকা মুন ওরফে প্রিয়ঙ্কা চৌধুরী।
কিন্তু মধ্যবিত্ত পরিবারের এক তরুণের সঙ্গে কেন সম্পর্কে জড়াতে গেলেন প্রিয়ঙ্কা? খুনের পরতে পরতে ছড়িয়ে রয়েছে একাধিক রহস্য। কিন্তু, কে এই প্রিয়ঙ্কা? প্রিয়ঙ্কা চৌধুরী অর্থাৎ মুন জুনিয়রের বান্ধবী৷ পেশায় মডেল। মোহনবাগানের প্রাক্তন কর্তা বলরাম চৌধুরীর প্রাক্তন পুত্রবধূ। জুনিয়রের সঙ্গে তাঁর পরিচয় হয় অনলাইন চ্যাটিং করতে গিয়েই৷
প্রিয়ঙ্কার প্রাক্তন জা নিরাজিতা চৌধুরী বলেন, স্বামীর সঙ্গে ঝামেলা হতো, জুনিয়র বা অন্যদের জন্য। জানতে পেরেছিলাম ৩-৪ বছর জুনিয়রের সঙ্গে কিছু একটা রিলেশন ছিল। শুধু তাই নয়, জুনিয়রের যেদিন খুন হন সেদিন ফ্যামিলি পার্টিতেও দেরি করে যান প্রিয়ঙ্কা। ওঁকে খুব মনমরা লাগছিল বলে জানিয়েছেন নিরাজিতা। তিনি বলেন, সিবিআই আমাকে চার বার জিজ্ঞেসাবাদ করেছে, যা যা জানতে চেয়েছে সব জানিয়েছি।
২০১১ সালের ১২ জুলাই, রাতে বরানগর থানা থেকে জুনিয়রের বাড়িতে ফোন যায়৷ জানানো হয়, বেলঘরিয়া এক্সপ্রেসওয়ের সিসিআর ব্রিজে পাওয়া গিয়েছে জুনিয়রের দেহ৷ উদ্ধার করা হয়েছে তাঁর বাইকটিও৷ প্রাথমিকভাবে দুর্ঘটনায় মৃত্যু বলেই অনুমান করে পুলিশ৷ যদিও, ময়নাতদন্তে দেখা যায়, দেহে গুলির আঘাত রয়েছে৷
জেলা পুলিশ, সিআইডির হাত ঘুরে তদন্তভার যায় সিবিআইয়ের হাতে। সিবিআই সূত্রে দাবি, ঘটনার দিন প্রেমিকা মুনের সঙ্গে দেখা করতে যাচ্ছেন বলে বাড়ি থেকে বেরিয়ে ছিলেন জুনিয়র৷ প্রিয়ঙ্কাই তাঁকে ফোন করে ডাকেন। সুপারি কিলার দিয়ে জুনিয়রকে খুন করা হয়েছে বলে প্রাথমিক তদন্তে অনুমান সিবিআইয়ের। ধৃত প্রিয়ঙ্কার সাত দিনের সিবিআই হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত।