কলকাতা: বিজেপি নেতা শোভন চট্টোপাধ্যায়ের বাড়িতে তৃণমূল বিধায়ক দীপক হালদার, জেলা পরিষদের স্বাস্থ্য কর্মাধ্যক্ষ আবু তাহের। তৃণমূলের ডায়মন্ড হারবারের  বিধায়ক তিনি। তাঁর এই হঠাৎ উপস্থিতি ঘিরেই তুমুল শোরগোল পড়ে গিয়েছে।


শুধু দীপক হালদারই নন, শোভনের বাড়িতে দক্ষিণ ২৪ পরগনার জেলা পরিষদ কর্মাধ্যক্ষও উপস্থিত হয়েছেন এদিন। জেলা পরিষদের স্বাস্থ্য কর্মাধ্যক্ষ আবু তাহের। কেন এই সান্ধ্যকালীন বৈঠক? তা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে তীব্র চাঞ্চল্য। ব্যক্তিগত সম্পর্কের কারণে সাক্ষাৎ বলে দাবি।


এই সাক্ষাতের বিষয়ে আবু তাহের বলেন, আলাদা আলাদা ভাবে শোভন চট্টোপাধ্যায়ের বাড়িতে গিয়েছি। ওখানে গিয়ে দীপক হালদারের সঙ্গে দেখা হয়েছে। এর মধ্যে কোনও রাজনীতি নেই। বিজেপিতে যোগ দেওয়ার জন্য আহ্বানের বিষয় নেই। এখনই দল ছাড়ার সম্ভাবনা নেই। কালও তৃণমূলের হয়ে সভা করেছি। ওঁর বাড়িতে গিয়ে মোয়া দিলাম, চা খেলাম চলে এলাম। নিছক ব্যক্তিগত সম্পর্কের কারণে সাক্ষাৎ ছাড়া আর কিছু না।


সামনেই বিধানসভা নির্বাচন। আর এই নির্বাচন ঘিরে ঘটনার ঘটনা। যা নিয়ে তুঙ্গে রাজনৈতিক তরজা। শুরু হয়েছে শিবির বদলের হিড়িক। একদিকে নন্দীগ্রামে তৃণমূলে ভাঙন ধরানোতে বিশেষ ভূমিকা নিয়েছেন বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী। দলে দলে বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন তৃণমূলের নেতা মন্ত্রী থেকে বিধায়ক, সাংসদরা। অন্যদিকে বিজেপি ছেড়ে তৃণমূল শিবিরে যোগ দেন সুজাতা মণ্ডল। কিন্তু বিজেপির অন্দরে শোভন চট্টোপাধ্যায় এবং বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়ের অবস্থান নিয়ে প্রশ্ন আছে। গতকালের ঘটনায় সেই প্রশ্ন ফের মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে।


কী ঘটেছিল সোমবার?


দীর্ঘ টালবাহানার পর বিজেপির রোড শো-তে অনুপস্থিত ছিলেন রইলেন শোভন-বৈশাখী। পূর্ব নির্ধারিত সূচি মেনে রোড শো শুরু হলেও, দেখা গেল না তাঁদের। দু’জনের অনুপস্থিতিতে মুকুল রায়, কৈলাস বিজয়বর্গীয়দের নিয়ে হল রোড শো। শুধু তাই নয়, মুরলীধর সেন লেনে বিজেপি পার্টি অফিসে বরাদ্দ ঘরেও তালা ঝুলতে দেখা যায় গতকাল। আর এই আবহে জল্পনা উস্কে শোভনের বাড়িতে হাজির হলেন তৃণমূল বিধায়ক এবং জেলা পরিষদের স্বাস্থ্য কর্মাধ্যক্ষ।