প্রদ্যোৎ সরকার, নদিয়া: নদিয়ার তেহট্টের বাসিন্দা এক ছাত্র খুনের ঘটনায় রহস্য দানা বাঁধল। গত ২৪ মার্চ থেকে নিখোঁজ ছিলেন ওই ছাত্র। গতকাল রাতে ধুবুলিয়ার এক লজ থেকে তাঁর গলার নলি কাটা মৃতদেহ উদ্ধার হয়। ঘটনায় মৃতের এক আত্মীয় সহ তিনজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
মোবাইল ফোন সারাবেন বলে গত ২৪ মার্চ বাড়ি থেকে বেরিয়ে যান ২২ বছরের যুবক। সেই যুবকেরই গলার নলি কাটা মৃতদেহ উদ্ধার হল একটি লজের ঘর থেকে। নদিয়ার তেহট্টের বাসিন্দা এক কলেজ ছাত্রের খুনের ঘটনাকে কেন্দ্র করে রহস্য দানা বেঁধেছে। তেহট্ট থানার বেতাই কড়ুইগাছি এলাকার রথতলা পাড়ার বাসিন্দা ২২ বছরের সৌরভ কীর্তনিয়া বেতাই বি আর অম্বেডকর কলেজের বিএ দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র ছিলেন।
পরিবার সূত্রে দাবি, তিনি গত ২৪ মার্চ কৃষ্ণনগরে গিয়ে মোবাইল ফোন সারাবেন বলে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যান। তারপর থেকে তাঁর আর খোঁজ মেলেনি। পরিবারের দাবি, ওইদিন রাতে ৩০ লক্ষ টাকা মুক্তিপণ চেয়ে বাবার কাছে ফোন আসে। তেহট্ট থানায় দায়ের হয় অভিযোগ। পুলিশ সূত্রে খবর, টাওয়ার লোকেশন দেখে সন্দেহ হয়, মুক্তিপণ চেয়ে ফোন আসছে ধুবুলিয়া থানা এলাকা থেকে। এই ভাবে একাধিকবার মুক্তিপণ চেয়ে ফোন আসে। শেষপর্যন্ত শুক্রবার রাতে তেহট্ট থানার পুলিশ গোপন সূত্রে খবর পেয়ে লজ থেকে মৃতদেহ উদ্ধার করে।
লজের মালিক পক্ষের দাবি, ২৪ মার্চ কয়েকজন যুবক তাঁদের লজে এসে ঘরভাড়া চান। তবে তাঁদের কাছে পরিচয়পত্র ছিল না। লজ ভাড়া বাবদ অগ্রিম ও পরিচয়পত্র পরে দেবেন বলে জানান। প্রশ্ন উঠছে, পরিচয়পত্র দেখাতে না পারা সত্ত্বেও কেন যুবকদের ঘর ভাড়া দেওয়া হল?
কৃষ্ণনগর পুলিশ জেলার পুলিশ সুপারের দাবি, ঘটনায় লজের মালিককে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। অপহরণের গল্প ফাঁদা হয়েছিল। খুনের পিছনে প্রণয় ঘটিত কারণ থাকার সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। সেদিন ওই লজে কোনও তরুণী ছিলেন কি না, সেই খোঁজ নেওয়া হচ্ছে। ঘটনায় নিহতের এক আত্মীয় আকাশ হালদার সহ ৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।