ভোপাল : একদিকে পঞ্চায়েত নির্বাচনের মঞ্চ ( Panchayat Poll ) থেকে লাগাতার আক্রমণ শাণাচ্ছেন তৃণমূল নেতারা। পঞ্চায়েত ভোটের প্রচারে নেমে একের পর এক অভিযোগে মোদি সরকারকে বিদ্ধ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ( Mamata Banerjee ) । এমনকী উত্তরবঙ্গে বিজেপির অপেক্ষাকৃত শক্ত ঘাঁটি কোচবিহারে দাঁড়িয়েও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, ২০২৪ এ পাল্টে যাবে কেন্দ্রের সরকার। মালবাজারে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, মোদি সরকারের মেয়াদ আর ৬ মাস। সেখানে ভোপাল থেকে কড়া ভাষায় তৃণমূলের কড়া সমালোচনা করলেন নরেন্দ্র মোদি।
ভোপালে নরেন্দ্র মোদি বললেন, ' ২৩০০০ কোটি টাকার বেশি দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে। রোজভ্যালি, সারদা, শিক্ষক নিয়োগ, গরুপাচার, কয়লা পাচার দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে। বাংলার মানুষ এই দুর্নীতি ভুলবেন না'। ভোপালের সভা থেকে আক্রমণ প্রধানমন্ত্রীর ( Narendra Modi) ।
এর আগে চলতি মাসের ১৩ তারিখ নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে দিল্লিতে নাম না করে মোদি নিশানা করেন তৃণমূল সরকারকে। চাকরির জন্য রেট কার্ডের উল্লেখ করে আক্রমণ শাণান প্রধানমন্ত্রী । তিনি বলেন, রেস্তোরাঁর মতোই চাকরির জন্য রেট কার্ড হতে পারে? । মোদির মুখে সেবার উঠে এসেছিল, পুরসভায় গ্রুপ ডি, গ্রুপ সি-পদে চাকরিতে দুর্নীতির প্রসঙ্গ। তিনি এও বলেন, 'পরিবারতন্ত্রের রাজনীতি চাকরির নামে লুঠ করছে যুব সম্প্রদায়কে। যুব সম্প্রদায়ের স্বপ্নকে ধ্বংস করে দিয়েছে চাকরির রেট কার্ড। 'দেশের মানুষ ঠিক করবে কী চান, রেট কার্ড না, সেফ গার্ড !' পুর-নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগে নাম না করে তৃণমূল সরকারকে আক্রমণ করেন মোদি।
পার্থ চট্টোপাধ্যায়, অনুব্রত মণ্ডলদের নাম নিয়ে যখন বিরোধীরা প্রতি মুহূর্তে তৃণমূলকে আক্রমণ করে চলেছে, তখন সুকৌশলে কেন্দ্রের মোদি সরকারের বিরুদ্ধে একদিকে, অভিযোগ এবং আরেকদিকে, চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিচ্ছেন তৃণমূল নেত্রী। তিনি বিএসএফকে স্মরণ করান, ' মোদি আজ আছেন কাল নেই, আপনাদের তো দেশের সীমান্ত রক্ষা করতে হবে'।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পঞ্চায়েত ভোটপ্রচারে গিয়ে আরও বলেন, একশ দিনের টাকা আমরা কেন্দ্রীয় সরকারের থেকে ছিনিয়ে আনব। ১২০০ টাকার গ্যাসে ফুটছে বিনা পয়সার চাল। সব বন্ধ করলেও মুখ বন্ধ করতে পারবে না। বিজেপির আয়ু আর মাত্র ৬ মাস'।
শুধু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নয়, মোদি সরকারের বিরুদ্ধে একের পর এক ইস্যুতে তোপ দেগেছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ও। তিনি হাঁসখালিতে প্রচারে গিয়ে বলেন, ' বিজেপির বাঙালি বিদ্বেষের প্রমাণ আমরা বিভিন্নভাবে পেয়েছি।
বিজেপি মানুষকে ভুল বোঝানোর চেষ্টা করছে। মতুয়াদের এদেশের ওপর আমার-আপনার মতোই সমান অধিকার। আগে প্রধানমন্ত্রী ১৯৭২ সালের আগের প্রমাণপত্র দেখান, তারপর সাধারণ মানুষ দেখাবেন'।
আরও পড়ুন :
কেউ টাকা চাইলে সরাসরি মুখ্যমন্ত্রীকে জানাবেন, বললেন মমতা