গুয়াহাটি: নির্বাচনী মরশুমে অকথা-কুকথার কোনও শেষ নেই। বিহারে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে নিশানা করেও কুকথা শোনা গিয়েছে। সেই নিয়ে ফের বিরোধীদের আক্রমণ করলেন মোদি। জানালেন, জনতা-জনার্দনই তাঁর কাছে দেবতা। নিজের যন্ত্রণার কথা জনতা-জনার্দনের সামনেই তুলে ধরেন তিনি। পাশাপাশি, মোদি জানালেন, তিনি শিবের ভক্ত। গরল ধারণ করার ক্ষমতা ধরেন। (Narendra Modi in Assam)

অসমের সভা থেকে বিরোধী শিবির, বিশেষ করে কংগ্রেসকে আক্রমণ করেন মোদি। তিনি বলেন, “আমাকে যতই গালি দেওয়া হোক না কেন…আমি ভগবান শিবের ভক্ত। সব গরল গিলে নিতে পারি। কিন্তু নির্লজ্জ ভাবে যখন অন্য কাউকে আক্রমণ করা হয়, আমি সহ্য করতে পারি না। আপনারাই বলুন, ভূপেনদাকে (হাজারিকা) ভারতরত্ন দেওয়ার আমার সিদ্ধান্ত ঠিক কি না। ভূপেনদাকে ভারতরত্ন দিয়েছি বলে কংগ্রেস অপমান করছে। এটা ঠিক না ভুল?” (Narendra Modi)

মোদি আরও বলেন, “কংগ্রেসের বাস্তুতন্ত্র জানি আমি। আজ ফের আমাকে নিশানা করবে ওরা। বলবে, ফের মরাকান্না কাঁদছেন মোদি। জনতা-জমার্দনই আমার কাছে ভগবান। তাঁদের কাছে নিজের যন্ত্রণার কথা না বললে, আর কার কাছে বলব? ওঁরাই আমার প্রভু, আমার দেবতা, আমার রিমোট কন্ট্রোল। অন্য কোনও রিমোট কন্ট্রোল নেই আমার।”

অসমের দরংয়ে আজ একাধিক প্রকল্পের উদ্বোধন করেন মোদি। সেখানেই বক্তৃতা চলাকাসলীন বিরোধীদের, বিশেষ করে কংগ্রেসকে আক্রমণ করেন তিনি। বিহারে নির্বাচনী প্রচার ঘিরে রাজনীতির পারদ যেভাবে চড়ছে, তাতে মোদিকে নিশানা করেও কটূক্তি শোনা গিয়েছে। এমনকি তাঁর মা, প্রয়াত হীরাবেন মোদিকেও নিশানা করা হয়েছে বলে অভিযোগ বিরোধীদের। সেই আবহে কংগ্রেসের তৈরি একটি AI ভিডিও ঘিরে এফআইআর পর্যন্ত দায়ের হয়েছে। 

যদিও কংগ্রেসের দাবি, তারা গালিগালাজের রাজনীতিতে বিশ্বাসী। বরং ব্যক্তিগত আক্রমণের এই রীতির সূচনা করেছেন মোদি খোদ। এপ্রসঙ্গে অতীতে মোদির কিছু মন্তব্যও তুলে ধরেছে তারা, যেখানে কংগ্রেস নেত্রী সনিয়া গাঁধীকে ‘কংগ্রেসের বিধবা’ বলে উল্লেখ করা হয়, শশী তারুরের প্রয়াত স্ত্রীকে ‘৫০ কোটির গার্লফ্রেন্ড’, এমনকি মহিলা সাংসদকে সংসদের মধ্যে দাঁড়িয়ে ‘শূর্পনখা’, এমনকি ‘জার্সি গরু’র মতো শব্দও প্রয়োগ করা হয়। সবমিলিয়ে রাজনৈতিক তরজা চরমে।