আজই পাক সেনাপ্রধানের সঙ্গে সাক্ষাতের সম্ভাবনা রয়েছে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের। তার আগেই ভারতের বিদেশ সচিব জানালেন, মার্কিন প্রেসিডেন্টের সঙ্গে ফোনে কথা হয়েছে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির। বিক্রম মিস্রি জানিয়েছেন,  প্রায় ৩৫ মিনিট ধরে ফোনে কথা হয়েছে দুই দেশের রাষ্ট্রনেতার। মার্কিন প্রেসিডেন্টের কাছে ফের নিজেদের জঙ্গিকার্যকলাপ-বিরোধী অবস্থান তুলে ধরেছে ভারত। সেই সঙ্গে স্পষ্ট জানানো হয়েছে, জম্মু ও কাশ্মীরের বেশ কিছু অংশে পাকিস্তান আধিপত্য কায়েম করেছে, সেই সমস্যা সমাধানে ভারত কখনও তৃতীয় পক্ষের মধ্যস্থতা চায়নি এবং কখনও গ্রহণ করবে না ।  

বুধবার সকালে বিদেশ সচিব বিক্রম মিস্রি সাংবাদিকদের জানান, জি-৭ শীর্ষ সম্মেলনের জন্য মোদি যখন কানাডায় ছিলেন, তখন ফোনালাপটি হয়।  ট্রাম্প প্রধানমন্ত্রীর কাছে অপারেশন সিঁদুর সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে চান। তখনই প্রধানমন্ত্রী স্পষ্ট করে দেন, সন্ত্রাসবাদকে এখন আর ছায়াযুদ্ধ হিসেবে দেখছে না ভারত, আসল যুদ্ধ হিসেবেই দেখছে। ২২ এপ্রিল পহেলগাঁওতে সন্ত্রাসবাদী হামলার পর ভারত পাকিস্তান ও পাক-অধিকৃত কাশ্মীরে জঙ্গিঘাঁটিগুলিকে লক্ষ্য করে প্রত্যাঘাত হানে। এই আঘাত ছিল শুধুমাত্র  পাকিস্তান এবং পাক-অধিকৃত কাশ্মীরের সন্ত্রাসী শিবিরগুলিকে লক্ষ্য করে। প্রধানমন্ত্রী স্পষ্ট করে দেন এই বিষয়ে তৃতীয় পক্ষের মধ্যস্থতা কাঙ্ক্ষিত নয় এবং এটাই সর্বদা হয়ে আসছে। প্রধানমন্ত্রী ট্রাম্পকে বলেছেন, পাকিস্তানের গুলির জবাব গোলায় দিয়েছে ভারত। ভারতের অপারেশন সিদুঁর এখনও শেষ হয়নি। সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে ভারতের লড়াই অব্যাহত থাকবে। আমেরিকাকে স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে ভারত, জানিয়েছেন বিদেশ সচিব বিক্রম মিস্রী। 

ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে সংঘর্ষ বিরতির বিষয়ে বারবার কৃতিত্ব দাবি করে আসছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। প্রথম থেকেই ভারত তা দৃঢ়ভাবে অস্বীকার করেছে।  জম্মু ও কাশ্মীর সীমান্ত সমস্যার সমাধানের জন্যও আমেরিকা বারবার মধ্যস্থতা করতে চেয়েছে। তারপরই এই  জোরালো বিবৃতি দিলেন বিদেশ সচিব।  এর আগেও প্রধানমন্ত্রী বারবার বলে এসেছেন, এখন আর জম্মু ও কাশ্মীর নিয়ে পাকিস্তানের সঙ্গে কোনও আলোচনা হতে পারে না। এবার কথা হতে পারে শুধুমাত্র ওই অঞ্চলে সন্ত্রাসবাদী ঘাঁটিগুলো ধ্বংস করা এবং ভারতকে পাক অধিকৃত কাশ্মীর ফিরিয়ে দেওয়ার বিষয়েই।   

উল্লেখ্য, বুধবারই হোয়াইট হাউসে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে কথা বলবেন পাকিস্তানের সেনাপ্রধান  আসিম মুনির।  তাঁদের মধ্যাহ্নভোজ করার কথাও রয়েছে ।  ক্যাবিনেট রুমে দুজনের কথাবার্তা হতে পারে। তার আগেই ভারত ও আমেরিকার এই বার্তালাপ বিশেষ গুরুত্ববহ বলেই মনে করছে কূটনৈতিক মহল।