নয়াদিল্লি: লোকসভা নির্বাচনের আগেই দেশে সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন  (CAA) কার্যকর হবে বলে জানিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। সেই মতো, মার্চ মাসেই ভারত জুড়ে CAA কার্যকর করতে পারে কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদির সরকার। দিল্লির একটি সূত্র অন্তত তেমনই দাবি করছে। বেশ কিছু দিন ধরেই যদিও এ নিয়ে চর্চা চলছিল। (CAA Implementation)


CAA নিয়ে যদিও গোড়া থেকেই বিতর্ক। বিতর্কিত এই আইনের আওতায় পড়শি দেশ পাকিস্তান, বাংলাদেশ, আফগানিস্তানের অমুসলিম সংঘ্যালঘুদের ভারতের নাগরিকত্ব দেওয়ার পক্ষপাতী কেন্দ্র। সেই  লক্ষ্য বাস্তবায়িত করতে ইতিমধ্যেই কেন্দ্রীয় সরকার একটি পোর্টালের কাজ প্রায় শেষ করে ফেলেছে বলে খবর। ওই পোর্টালের মাধ্য়মেই পড়শি দেশের অমুসলিম নাগরিকরা ভারতের নাগরিকত্ব পেতে নাম নথিভুক্ত করতে পারবেন বলে জানা যাচ্ছে। (Lok Sabha Elections 2024)


কেন্দ্রীয় সরকারের একটি সূত্র জানাচ্ছে, নথিপত্র ছাড়াই পড়শি দেশের নাগরিকরা আবেদন জানাতে পারবেন। দীর্ঘমেয়াদি ভিসার আবেদন জানিয়ে ইতিমধ্যে পাকিস্তান থেকেই সর্বাধিক আবেদন জমা পড়েছে, যা নাগরিকত্ব পাওয়ার প্রথম ধাপ। সেই সব আবেদন জেলা কর্তৃপক্ষের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। গত দু'বছরে ন'রাজ্যের ৩০টি জেলার ম্যাজিস্ট্রেট এবং স্বরাষ্ট্রসচিবদের পড়শি দেশ থেকে আসা হিন্দু, শিখ, বৌদ্ধ, জৈন, পার্সি এবং খ্রিস্টানদের নাগরিকত্ব দেওয়ার ক্ষমতা অর্পণ করা হয়েছে। 


আরও পড়ুন: Prashanth Balakrishnan Nair: সংসার চালাতে কুয়েতে পড়েছিলেন বাবা, ছেলে ‘গগনযান’ অভিযানের নায়ক গ্রুপ ক্যাপ্টেন নায়ার


কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ২০২১ সালের ১ এপ্রিল থেকে ২০২১ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত পাকিস্তান, বাংলাদেশ এবং আফগানিস্তান থেকে ১৪১৪ জনকে ভারতের নাগরিকত্ব দেওয়া হয়েছে। ১৯৫৫ সালের নাগরিকত্ব আইন অনুযায়ী তাঁদের আবেদন মঞ্জুর করা হয়। 


২০১৯ সালে দেশের সংসদে CAA পাশ করায় কেন্দ্রীয় সরকার। সেই নিয়ে গোটা দেশ উত্তাল হয়ে ওঠে। কারণ এই আইনের আওতায় এই প্রথম ভারতের নাগরিকত্ব পাওয়ার অন্যতম শর্ত হয়ে ওঠে ধর্ম। যদিও কেন্দ্রের যুক্তি ছিল, পড়শি দেশে বিশেষ করে ইসলামিক দেশগুলিতে সংখ্যালঘু হিন্দু, শিখ, জৈন, বৌদ্ধ এবং খ্রিস্টানরা অত্যাচারের শিকার হন। তাঁদেরকেই ভারতের নাগরিকত্ব দেওয়ার সিদ্ধান্ত। গৃহীত হয়েছে। যদিও সমালোচকদের দাবি, ভারতের সংবিধানে ধর্মনিরপেক্ষতার যে উল্লেখ রয়েছে, CAA তার সম্পূর্ণ পরিপন্থী। পাশাপাশি, লোকসভা নির্বাচনের আগে CAA নিয়ে নতুন ররে জিগির তোলা হচ্ছে বলেও দাবি কেন্দ্রে ক্ষমতাসীন BJP-র বিরোধী দলগুলির।