সঞ্চয়ন মিত্র ও রঞ্জিত সাউ, কলকাতা: নিয়োগের দাবিতে ফের পথে নামলেন চাকরিপ্রার্থীরা ( KarunamoyeeTeacher Agitation)। মঙ্গলবার বিক্ষোভে উত্তাল হল করুণাময়ী। রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ দেখালেন ২০২২-এর টেট পরীক্ষায় উত্তীর্ণরা। একেবারে করুণাময়ী মোড়ে বসে পড়ে বিক্ষোভ। টেনেহিঁচড়ে চাকরিপ্রার্থী বিক্ষোভকারীদের সরানোর অভিযোগ পুলিশের বিরুদ্ধে। 


যা ঘটল...
তৈরি ছিল বিশাল বাহিনী, RAF। দাঁড় করিয়ে রাখা ছিল বেশ কয়েকটি বাস। কিন্তু কোনও ব্যবস্থাই শেষমেশ কাজে এল না।  রীতিমতো পুলিশের চোখে ধুলো দিয়ে রাস্তায় নেমে পড়লেন চাকরিপ্রার্থীরা। আর এর পর চলল টানাহেঁচড়া, চ্যাংদোলা করে তুলে নিয়ে যাওয়া। সব মিলিয়ে সন্দেশখালিকাণ্ড নিয়ে যখন রাজ্যজুড়ে শোরগোল, তখন নিয়োগের দাবিতে ফের পথে নামলেন চাকরিপ্রার্থীরা। অবিলম্বে ইন্টারভিউয়ের দাবিতে, মঙ্গলবার,  সল্টলেকের এপিসি ভবন অভিযানের ডাক দেন ২০২২ সালের টেট উত্তীর্ণরা। সেই কর্মসূচি ঘিরে তুমুল গণ্ডগোলের সাক্ষী থাকলেন রাজ্যের মানুষ। তবে এ রাজ্যে গত কয়েক বছর ধরে শিক্ষায় নিয়োগ ক্ষেত্রে বিক্ষোভ নতুন নয়। সপ্তাহখানেক আগে, যেমন, এসএলএসটি নবম-দ্বাদশের চাকরিপ্রার্থীরা নিজেদের মুখে নিজেরাই কালি মাখেন। সেদিন আচার্য ভবনে এসএসসি চেয়ারম্যান সিদ্ধার্থ মজুমদারের সঙ্গে বৈঠক ছিল তাঁদের। কিন্তু শেষে চাকরিপ্রার্থীদের দাবি, SSC চেয়ারম্য়ান জানিয়ে দেন, SSC-র কাছে নিয়োগের সরকারি কোনও নোটিফিকেশন নেই। বৈঠক থেকে বেরিয়ে এসেই নিজেরাই কালি মাখেন মুখে।


আর যা...
নিয়োগের দাবিতে চলতি মাসেই SSC যুব ছাত্র অধিকার মঞ্চের ব্যানারে কার্যত দরজায় দরজায় ঘুরছিলেন চাকরিপ্রার্থীরা। তাঁদের অভিযোগ ছিল, ২০২২ সালে স্কুলে চাকরির সুপারিশপত্র পেলেও মেলেনি নিয়োগ পত্র। প্রথমে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুর বাড়ির সামনে হাজির হন SSC চাকরিপ্রার্থীরা। পরে রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল কিশোর দত্তের সাক্ষাৎ চেয়ে ঢাকুরিয়ায় তাঁর বাড়ির সামনে দরবার করেছিলেন তাঁরা। সুকিয়া স্ট্রিটে তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষের বাড়ির সামনেও হাজির হয়েছিলেন SSC যুব ছাত্র অধিকার মঞ্চের সদস্যরা। কারও দেখা না পেয়ে শেষপর্যন্ত স্থানীয় থানায় স্মারকলিপি জমা দিয়েছিলেন চাকরিপ্রার্থীরা। গত ডিসেম্বরে আবার, কালীঘাটে মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির কাছে বিক্ষোভ দেখিয়ে জেল হেফাজতে যান ৪ জন। ওই বিক্ষোভের জন্য ৫৯ জন আপার প্রাইমারি চাকরিপ্রার্থীকে প্রথমে গ্রেফতার করে পুলিশ। ধৃতদের পুলিশ হেফাজতে নিতে চেয়ে আবেদন করা হয় রাজ্য সরকারের তরফে। তবে ৫৫ জন চাকরিপ্রার্থীর জামিন মঞ্জুর করে আদালত। 


আরও পড়ুন:শাল নদীর চরে কী আছে ওই ব্যাগে ? উঁকি দিতেই থরহরি কম্প


Education Loan Information:

Calculate Education Loan EMI