নয়াদিল্লি : Zerodha-র সহ-প্রতিষ্ঠাতা নিখিল কামাতের People by WTF সিরিজ দিয়ে পডকাস্টে 'অভিষেক' ঘটল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির। সেখানেই ব্যক্তিগত কথা শেয়ার করেন প্রধানমন্ত্রী। বলেন, "ভুল হয় এবং আমিও ভুল করতে পারি। আমিও মানুষ, ভগবান নই।" একইভাবে জিরোধার সহ-প্রতিষ্ঠাতাও পডকাস্টের শুরুতেই নিজের হিন্দি দক্ষতা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন। মজা করে বলেন, "খারাপ হিন্দি।"


কামাতের কথায়, "স্যার, আমার হিন্দি যদি ভালো না হয় তাহলে আমাকে ক্ষমা করে দেবেন। আমি একজন দক্ষিণ ভারতীয়। আমি বেঙ্গালুরুতে বড় হয়েছি। আমার শহর মহীসুরু। যেখানে মানুষ অধিকাংশ সময় কন্নড় ভাষায় কথা বলেন। আমার বাবা ছিলেন ম্যাঙ্গালুরুর কাছেপিঠে। স্কুলে হিন্দি শিখেছিলাম। কিন্তু, অতটা সড়গড় নই।"  


তখন নিখিল কামাতকে আশ্বস্ত করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, "দেখুন আমিও হিন্দিভাষী নই। আমাদের দুই জনের এভাবেই চলবে। আমি এখানে আপনার সামনে বসে আছি এবং কথা বলছি। আমি নার্ভাস বোধ করছি। আমার কাছে এটা কঠিন আলোচনা। এটা আমার প্রথম পডকাস্ট। জানি না, আপনার দর্শকরা বিষয়টি কীভাবে নেবেন।"


দীর্ঘ দুই ঘণ্টা ধরে চলে উভয়ের কথোপকথন। সেখানে প্রধানমন্ত্রী নিজের শৈশব, শিক্ষা, রাজনীতিতে কীভাবে প্রবেশ করলেন, কখন কখন কঠিন সময় দেখেছেন, কীভাবে উদ্বেগের মোকাবিলা করেছেন এবং নীতি নির্ধারণ নিয়ে নানা অভিজ্ঞতার কথা ভাগ করে নেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, "আমি বাড়ির সকলের জামাকাপড় পরিষ্কার করতাম। সেই কারণে আমার পুকুরে যাওয়ার অনুমতি ছিল।"


প্রথমে পডকাস্টের ট্রেলার নিজের এক্স হ্যান্ডেলে শেয়ার করেন প্রধানমন্ত্রী। সেখানে তিনি লেখেন, "আশা করছি, আপনারা সকলে এটা উপভোগ করবেন। এটা তৈরি করতে আমরা যতটা উপভোগ করেছি, আপনারাও ততটাই উপভোগ করবেন বলে আশা রাখি।" পরে পূর্ণাঙ্গ ভিডিও এক্স হ্যান্ডেলে দিয়ে দেন তিনি।


 






প্রধানমন্ত্রী বলেন, "২০১৪ সালে যখন আমি প্রধানমন্ত্রী হলাম, চিনের প্রেসিডেন্ট জিনপিং শি-র সৌজন্য ফোন আসে। তখন উনি বলেন, 'আমি ভারতে আসতে চাই।' বললাম, 'নিশ্চয়ই, আসুন, আপনাকে স্বাগত।' উনি বলেন, 'আমি গুজরাত যেতে চাই।' তখন আমি বলি, 'এ তো খুবই ভালো খবর।' উনি বলেন, 'আমি আপনার গ্রাম বদনগর যেতে চাই।' আমি বললাম, 'দারুণ ব্যাপার। আপনি এতটা পরিকল্পনা করে ফেলেছেন।' উনি বলেন, 'আপনি জানেন, কেন ?' আমি বলি, 'না, তা জানি না।' উনি বলেন, 'আমার সঙ্গে আপনার একটা বিশেষ সম্পর্ক আছে।' আমি বললাম, 'কী ?' উনি বলেন, 'চিনের দার্শনিক হিউয়েন সাং সবথেকে বেশি সময় আপনার গ্রামে ছিলেন। কিন্তু, যখন ফিরে আসেন। উনি আমার গ্রামে ছিলেন। এটা আমাদের দু'জনের সংযোগ।"