নয়া দিল্লি : বৃহস্পতি গ্রহের চাঁদ জ্ঞানিমিডে মিলল জলীয় বাষ্পের নমুনা। জ্যোতির্বিদরা এমনটা আবিষ্কার করেছেন। নাসা/ইএসএ হুবেল স্পেস টেলিস্কোপের নথি বিশ্লেষণ করে এই তথ্য পেয়েছেন গবেষকরা।
এর আগের গবেষণায় দেখা গিয়েছিল, জ্ঞানিমিডে পৃথিবীর থেকেও বেশি জল আছে। কিন্তু, যেহেতু সেখানে প্রচণ্ড ঠান্ডা(মাইনাস ১০০-১৮০ ডিগ্রি সেলসিয়াস), তাই ওই পৃষ্ঠ তলে জল জমে যেতে পারে। এই জল্পনাও শুরু হয় যে, পৃষ্ঠতলের ১৬০ কিলোমিটার নিচে মহাসাগরের অস্তিত্ব থাকতে পারে।
কীভাবে এর হদিস মিলল ?
১৯৯৮ সালে প্রথম জ্ঞানিমিডের আল্ট্রাভায়োলেট ছবি তোলে স্পেস টেলিস্কোপ ইমেজিং স্পেক্টোগ্রাফ অফ হুবেল। গবেষণায় দেখা যায়, জ্ঞানিমিডে স্থায়ী চৌম্বকীয় ক্ষেত্র এবং পারমাণবিক অক্সিজেন রয়েছে। এই পারমাণবিক অক্সিজেনের পরিমাণ মাপতে ২০১৮ সালে হুবেলের কসমিক অরিজিনস স্পেকট্রোগ্রাফ যন্ত্র ব্যবহার করা হয়। গবেষক দল ১৯৯৮, ২০১০ ও ২০১৮ সালের তথ্য একত্রিত করে। তারা অবাক হয়ে যায় এটা দেখে যে, মূল গবেষণার থেকে কিছু পৃথক বিষয় রয়েছে।
সুইডেনের স্টকহোমের কেটিএইচ রয়্যাল ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজির লরেন্জ রথ বলেন, প্রাথমিকভাবে o2 পরিলক্ষিত হয়। প্রসঙ্গত, সোমবার নেচার অ্য়াস্ট্রোনমিতে যে পেপার প্রকাশিত হয়েছে তার করোসপন্ডিং অথর লরেন্জ । তিনি ব্যাখ্যা করেছেন, নিরক্ষরেখার কাছে জ্ঞানিমিডের পৃষ্ঠতল উষ্ণ হতে পারে। এছাড়া বরফের পৃষ্ঠতল জলীয় অণু নির্গত করতে পারে।
JUICE মিশন
এদিকে ইউরোপীয়ান স্পেস এজেন্সি জুপিটর আইসি মিশন এক্সপ্লোরার মিশনের উদ্যোগ নিচ্ছে। যা নিয়ে স্বভাবতই কৌতূহল রয়েছে। আগামী বছরেই শুরু হচ্ছে JUICE মিশন। ২০২৯ সালে পৌঁছাবে বৃহস্পতিতে। প্রায় তিন বছর ধরে এই গ্রহ নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা চলবে। এর পাশাপাশি এখানকার তিন বৃহত্তম চাঁদ নিয়েও চলবে গবেষণা। রথের বক্তব্য, আমাদের গবেষণা JUICE ইন্স্ট্রুমেন্ট দলকে মূল্যবান তথ্য দিয়ে সাহায্য করবে। যেটা তাদের পর্যবেক্ষণ পরিকল্পনার পরিশোধনে সাহায্য করবে। মহাকাশ যানের ব্যবহার নিয়ে আশাবাদী করে তুলবে।