রাঁচি: # সাড়ে তিন বছর কারাবাসের সাজা হল লালুপ্রসাদ যাদবের। আজ বিকেল চারটেয় বহুচর্চিত পশুখাদ্য কেলেঙ্কারি মামলার অপরাধীদের আজ সাজা ঘোষণা করে রাঁচির বিশেষ সিবিআই আদালত। বিহারের মুখ্যমন্ত্রী থাকাকালে ২১ বছর আগে দেওঘর ট্রেজারি থেকে জালিয়াতির মাধ্যমে বেআইনিভাবে ৮৯.২৭ লক্ষ টাকা আত্মসাতের পশুখাদ্য কেলেঙ্কারি মামলায় বিশেষ সিবিআই আদালত এই সাজা দিল রাষ্ট্রীয় জনতা দল (আরজেডি) সভাপতিকে। সিবিআই বিচারক গত ২৩ ডিসেম্বর লালু ও আরও ১০জনকে দোষী সাব্যস্ত করেন। আজ তিনি পশুখাদ্য কেলেঙ্কারি সংক্রান্ত দুটি মামলায় লালুর ৫ লক্ষ করে মোট ১০ লক্ষ টাকা জরিমানা ধার্য করেন। জরিমানা অনাদায়ে আরও ৬ মাস জেল খাটতে হবে।
প্রতারণা, ফৌজদারি ষড়যন্ত্রের অভিযোগে ভারতীয় দণ্ডবিধি ও দুর্নীতি দমন আইনের নানা ধারায় অপরাধী ঘোষিত হন লালু।

পশুখাদ্য মামলায় অপরাধী সাব্যস্ত হওয়ার পর থেকে বিহারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর ঠিকানা হয়েছে রাঁচির বিরসা মুন্ডা জেল। তাঁর আইনজীবীর বক্তব্য, লালু রীতিমত অসুস্থ, তাঁর ডায়াবিটিস, রক্তচাপের সমস্যা রয়েছে, গতকাল তাঁর প্রায় জ্ঞান হারানোর অবস্থা হয়। এ সপ্তাহের প্রথমে লালুর শারীরিক অবস্থার কথা বলে আদালতে তাঁরা তাঁকে ন্যূনতম শাস্তি দেওয়ার আবেদন করেছেন। আরজেডি সুপ্রিমোর নিজেরও দাবি, পশুখাদ্য কেলেঙ্কারিতে তিনি সরাসরি যুক্ত ছিলেন না, তাই তাঁর বয়স ও শারীরিক অবস্থার কথা মাথায় রেখে তাঁকে ন্যূনতম শাস্তি দেওয়া হোক।



লালুর সাজার পর আরজেডির আগামী রাস্তা স্থির করতে লালু পত্নী রাবড়ি দেবীর সরকারি বাসভবনে আজ বৈঠকে বসে দলীয় নেতৃত্ব। দলীয় সূত্রের খবর, লালুর সাজার খবর পেয়ে বৈঠকে উচ্চতর আদালতে আবেদনের সিদ্ধান্ত হয়। লালু-পুত্র তেজস্বী নারায়ণ যাদব বলেন, সাজার নির্দেশ খতিয়ে দেখে লালুপ্রসাদ যাদবকে দোষী ঘোষণার রায়ের বিরোধিতা করে জামিনের আবেদন জানানো হবে।

প্রসঙ্গত, এটি দ্বিতীয় পশুখাদ্য মামলা যাতে দোষী ঘোষিত হয়ে সাজা পেলেন লালু। প্রথম মামলায় ২০১৩-র ৩০ সেপ্টেম্বর ৫ বছরের কারাবাসের শাস্তি পান তিনি। তবে আড়াই বছর জেল খাটার পর লালু সুপ্রিম কোর্টে জামিন পান।