মুম্বই: ডিমোনেটাইজেশনের জের! চলতি অর্থবর্ষে দেশের জিডিপি বৃদ্ধির পূর্বাভাস ৭.৬% থেকে কমিয়ে ৭.১% করল রিজার্ভ ব্যাঙ্ক। একইসঙ্গে, বিনিয়োগকারীদের হতাশ করে একই রাখা হল রেপো রেট।


এদিন ষান্মাসিক আর্থিক নীতি ঘোষণা করতে গিয়ে আরবিআই জানায়, তৃতীয় ত্রৈমাসিকে যে ক্ষতি হয়েছে এবং চতুর্থ ত্রৈমাসিকে যে ক্ষতির পূর্বাভাস রয়েছে, তা মাথায় রেখে আর্থিক বৃদ্ধির পূর্বাভাস ০.৫ শতাংশ কমিয়ে ৭.১ শতাংশ করা হচ্ছে।


শীর্ষ ব্যাঙ্কের বিবৃতিতে জানানো হয়, চলতি আর্থিক বছরের প্রথম ও দ্বিতীয় ত্রৈমাসিকের সময় আর্থিক বৃদ্ধি ৭.১ থেকে বেড়ে ৭.৩ হয়েছিল। কিন্তু, এরপর নোট বাতিলের ফলে বৃদ্ধির হার কিছুটা ধাক্কা খায়। তা অনিশ্চিত হয়ে পড়ে। যার জেরে, নতুন পরের ত্রৈমাসিকগুলির ক্ষেত্রে পূর্বাভাস কিছুটা কমাতে হয়েছে।


তবে, শীর্ষ ব্যাঙ্ক আশাবাদী যে, নোট বাতিলের প্রভাব যত কমতে থাকবে এবং দেশের বাজারে নতুন নোটের জোগান যত ধীরে ধীরে বাড়বে, আর্থিক বৃদ্ধির হারও সমানুপাতিক বাড়বে। একইসঙ্গে, ব্যাঙ্কের মতে, ক্যাশলেস লেনদেনের ফলেও, আখেরে উপকৃত হবে দেশের অর্থনীতি।


এদিকে, নোট ভোগন্তিতে দিশেহারা সাধারণ মানুষ আশা করেছিল রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অন্তত সুদের হার কমালে তাঁদের বাড়ি-গাড়ির ঋণ কিছুটা কমবে! কিন্তু, তাতেও জল ঢেলে দিয়েছেন আরবিআই গভর্নর উর্জিত পটেল।


বুধবার ঋণনীতি ঘোষণা করতে গিয়ে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক রেপো রেট ৬.২৫ শতাংশেই অপরিবর্তিত রাখল আরবিআই। ফলে সুদের হারও কমল না। কোনও প্রভাব পড়ল না বাড়ি-গাড়ির ঋণের ইএমআইতেও। এতে একদিকে যেমন হতাশ হয়েছেন সাধারণ মানুষ, তেমনই হতাশ হয়েছে বণিকমহলও।


আর এই আশঙ্কার প্রভাব পড়েছে শেয়ার বাজারে। রিজার্ভ ব্যাঙ্কের ঘোষণায় আশাভঙ্গের সঙ্গে সঙ্গেই ফের নিম্নমুখী শেয়ার সূচক। দিনের শেষে ১৫৬ পয়েন্ট নীচে সূচক দাঁড়িয়েছে ২৬,২৩৭ পয়েন্টে। অন্যদিকে, দিনের শুরুতে আশা জাগিয়েছিল নিফটিও। কিন্তু দিনের শেষে সেই আশা ধরে রাখতে পারেনি। ৪১ পয়েন্ট নীচে নিফটি দাঁড়িয়েছে ৮,১০২ পয়েন্টে।