updates: রাজ্যে করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংস্পর্শে আসা আত্মীয়দের নমুনা পরীক্ষার রিপোর্টে পাওয়া গেল না ভাইরাস
গুজরাতেও আজ মাঝরাত থেকেই জারি হচ্ছে লকডাউন। রাজ্যের সীমানাগুলি সিল করে দেওয়া হয়েছে। লকডাউন সংক্রান্ত নির্দেশিকা ভঙ্গ করলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন গুজরাতের ডিজিপি শিবানন্দ ঝা।
রাজ্যের মুখ্য সচিব ও ডিজিপির সঙ্গে বৈঠকে পরিস্থিতি পর্যালোচনার পর কোনও শিথিলতা ছাড়াই রাজ্যে কার্ফু জারির ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। পঞ্জাব সরকারের এক মুখপাত্র জানিয়েছেন, লোকজন যাতে বাড়িতেই থাকেন, তা নিশ্চিত করতেই এই পদক্ষেপ।
৩১ মার্চ পর্যন্ত মহারাষ্ট্রে প্রায় সামগ্রিক লকডাউন ঘোষণার পরদিন কার্ফু জারির সিদ্ধান্ত নেওয়া হল। মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, করোনার সংক্রমণজনিত পরিস্থিতি গুরুত্বপূর্ণ পর্যায়ে রয়েছে। এখন কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ না করলে অন্যান্য দেশের মতো পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে পারি। আমি বারেবারেই আর্জি জানিয়েছি। কিন্তু এতে সেভাবে কাজ হয়নি। তাই আমরা কার্ফু জারি করতে বাধ্য হলাম।
লখনউতে নাগরিকত্ব আইন বিরোধী আন্দোলন স্থগিত করে দেওয়া হয়েছে।
কেরল সরকার রাজ্যে সম্পূর্ণ লকডাউন ঘোষণা করেছে। রাজ্যের সীমানাগুলি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। সমস্ত গণপরিবহণ ব্যবস্থা বন্ধ। রাজ্যে সমস্ত প্রার্থনস্থলও বন্ধ। আগামী ৩১ মার্চ পর্যন্ত এই লকডাউন চলবে। ওষুধের দোকান ছাড়া অন্যান্য দোকাল সকাল সাতটা থেকে পাঁচটা পর্যন্ত খোলা থাকবে বলে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন।
মধ্যপ্রদেশের ৩৬ জেলায় লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে। ওই জেলাগুলিতে ১৪৪ ধারাও জারি হয়েছে।
কেন্দ্র রাজ্যগুলিকে লকডাউন কঠোরভাবে প্রয়োগের জন্য নির্দেশ দিয়েছে। কেন্দ্র ও রাজ্যসরকারগুলি দেশজুড়ে ৮০ টি জেলায় সম্পূর্ণভাবে আগামী ৩১ মার্চ পর্যন্ত লকডাউন করার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেয়।
প্রেক্ষাপট
নয়াদিল্লি: করোনাভাইরাসজনিত পরিস্থিতিতে দেশের বিভিন্ন রাজ্যে শুরু হয়েছে লকডাউন। পশ্চিমবঙ্গ সহ দিল্লি, ওড়িশা,মহারাষ্ট্র, পঞ্জাব, রাজস্থান সহ বিভিন্ন রাজ্যে জারি হয়েছে লকডাউন সক্রান্ত বিধিব্যবস্থা। করোনাভাইরাসজনিত পরিস্থিতিতে জাতীয় রাজধানী দিল্লিতে আজ থেকে শুরু হয়েছে লকডাউন। আগামী ৩১ মার্চ পর্যন্ত তা চলবে। এরইমধ্যে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীবাল লোকজনের কাছে লকডাউন মেনে চলার আর্জি জানিয়েছেন। তিনি সাফ জানিয়েছেন, কেউ লকডাউন পালন না করলে মানুষের সুরক্ষার কথা মাথায় রেখে আগামীকাল থেকে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তিনি বলেছেন, আমি সবাইকে লকডাউনের মাপকাঠি মেনে চলার আর্জি জানাচ্ছি। করোনাভাইরাসের ছড়িয়ে পড়া রুখতেই এই লকডাউন। আগামীকাল থেকে লোকজনের গতিবিধিতে কড়া নিয়ন্ত্রণ করা হবে। আমি সবাইকে বাড়িতে থাকার আবেদন জানাচ্ছি।
কেজরীবাল বলেছেন, করোনা একটি বিপজ্জনক ভাইরাস। এই বিপদের হাত থেকে রক্ষা পেতে আমাদের অন্য দেশগুলির ভুল থেকে শিক্ষা নিতে হবে। এ জন্য সবার সহযোগিতার প্রয়োজন। লকডাউনে দরিদ্ররা সবচেয়ে বেশি প্রভাবিত হবেন। তাঁদের খাদ্যদ্রব্যের অভাব যাতে না হয়, সেজন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
কারুর খাদ্য সংক্রান্ত সমস্যা থাকলে তাঁকে সাহায্য করার জন্য অন্যদের আর্জি জানিয়েছেন কেজরীবাল। তিনি বলেছেন, এক্ষেত্রে সবাইকে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে লড়াই করতে হবে।
দিল্লিতে মেট্রো রেল পরিষেবা ৩১ মার্চ পর্যন্ত বন্ধ। দিল্লি পরিবহণ নিগমের মাত্র ২৫ শতাংশ বাস চলবে। এছাড়া লকডাউন পর্বে বেসরকারি বাস, ট্যাক্সি, অটোরিক্সা, রিক্সা বা ই-রিক্সার চলাচল নিষিদ্ধ। আগামী ৩১ মার্চ পর্যন্ত চার বা তার বেশি মানুষের জমায়েত আচকাতে পুলিশ দিল্লিতে ১৪৪ ধারা জারি করেছে।
অত্যাবশ্যক পরিষেবা লকডাউনের বাইরে রয়েছে।
- - - - - - - - - Advertisement - - - - - - - - -