নয়া দিল্লি: সোমবার ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলায় রাহুল গান্ধীকে (Rahul Gandhi) চতুর্থবার জিজ্ঞাসাবাদ করল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ED)। ইডি সূত্রে দাবি, মঙ্গলবার ফের রাহুল গান্ধীকে তলব করা হয়েছে। অন্যদিকে, ইডি’কে কাজে লাগানোর অভিযোগে এদিন যন্তরমন্তরে সত্যাগ্রহ কর্মসূচিতে অংশ নেয় কংগ্রেস। পরে রাষ্ট্রপতির কাছেও দরবার করেন কংগ্রেসের শীর্ষনেতারা। 


সোমবার হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেলেন সনিয়া গান্ধী। আর সেই দিনই ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলায় চতুর্থদিন ইডি’র কাছে হাজিরা দিলেন রাহুল গান্ধী। গত সপ্তাহে তিন দিনে ৩০ ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে জিজ্ঞাসাবাদের পর সোমবারও ফের রাহুল গান্ধীকে ম্যারাথন জিজ্ঞাসাবাদ করলেন ইডি অফিসাররা। 


মঙ্গলবারও তাঁকে ফের তলব করা হয়েছে বলে ইডি সূত্রে খবর। আর রাহুল গান্ধীকে কার্যত প্রতিদিনই ইডি’র এই জিজ্ঞাসাবাদ নিয়ে, আরও বেশি করে প্রতিবাদে সরব হল কংগ্রেস। শুধুমাত্র রাহুলকে হেনস্থা করতেই ইডিকে কাজে লাগানো হচ্ছে, এই অভিযোগে সোমবার ফের পথে নামল কংগ্রেস। 


আরও পড়ুন, মুখ্যমন্ত্রী সম্পর্কে অশালীন মন্তব্যের মামলায় জামিন পেলেন রোদ্দুর রায়            



পাশাপাশি এই ইস্যুতে রাষ্ট্রপতির কাছেও দরবার করল তারা। গত সপ্তাহে সোমবার ১০ ঘণ্টা, মঙ্গলবার ১১ ঘণ্টা ও বুধবার ১০ ঘণ্টা ধরে রাহুলকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন ইডির গোয়েন্দারা। এরপর সোমবার ফের তাঁকে ডেকে পাঠানো হয়। এদিন সকাল এগারোটা আটে চতুর্থবার ইডি অফিসে পৌঁছোন রাহুল। দুপুর সোয়া তিনটে নাগাদ মধ্যাহ্নভোজের বিরতিতে একবার বেরোন। 


আবার পৌনে পাঁচটা নাগাদ জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ইডি অফিসে পৌঁছে যান তিনি। এদিনও দু’দফায় তাঁকে প্রায় ১১ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। অন্যদিকে মোদি সরকারের বিরুদ্ধে ইডি’কে কাজে লাগানোর অভিযোগ তুলে এদিন যন্তরমন্তরে সত্যাগ্রহে বসে কংগ্রেস। নেতৃত্বে ছিলেন অশোক গহলৌত, মল্লিকার্জুন খাড়গে, ভূপেশ বাঘেলের মতো প্রবীণ নেতারা। 


বিকেলে বিজয়চক থেকে মিছিল করে কংগ্রেস নেতারা রাষ্ট্রপতি ভবনে যান। রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের সঙ্গে দেখা করে, তাঁকেও এই মর্মে স্মারকলিপি দেন কংগ্রেস নেতারা। রাহুল গাঁধীকে চতুর্থদিন জিজ্ঞাসাবাদ ইডি’র। মঙ্গলবার ফের তলব। ধর্নার পর রাষ্ট্রপতির কাছে দরবার কংগ্রেসের। 


রাহুল গান্ধী ইডি অফিসে ঢোকার সময় তাঁর এক সমর্থক সেখানে বিক্ষোভ দেখাচ্ছিলেন। পুলিশ তাঁকে আটকায়। তখনই ইডি অফিস থেকে বেরিয়ে যন্তরমন্তরে কংগ্রেসের ধর্নায় যাচ্ছিলেন প্রিয়ঙ্কা গান্ধী। রাহুল গান্ধীর সমর্থককে দেখে তিনি গাড়ি থামান। তারপর তাঁকে নিজের গাড়িতে তুলে যন্তরমন্তরের উদ্দেশে রওনা দেন।