নয়াদিল্লি: পাঠ্যবই থেকে মুঘল ইতিহাস বাদ দেওয়া হয়েছে আগেই। এ বার মহাত্মা গান্ধীকে নিয়ে লেখা কিছু অংশও বাদ দিল ন্যাশনাল কাউন্সিল অফ এডুকেশনাল রিসার্চ অ্যান্ড ট্রেনিং (NCERT)। রাষ্ট্রীয় স্বয়ম সেবক সঙ্ঘের নিষিদ্ধ হওয়ার পর্বও কার্যত উড়ে গেল বইয়ের পাতা থেকে। যদিও এই সিদ্ধান্ত হালফিলের নয়, গতবছরের বলে দাবি NCERT-র। বিষয়টিকে নিয়ে খামোকা জলঘোলা হচ্ছে বলে দাবি তাদের। তাতে আরও হাওয়া পাচ্ছে বিতর্ক (NCERT Book)।
দ্বাদশ শ্রেণির রাষ্ট্রবিজ্ঞান বইয়ে এই কাটছাঁট NCERT-র
দ্বাদশ শ্রেণির রাষ্ট্রবিজ্ঞান বইয়ে এই কাটছাঁট করা হয়েছে বলে অভিযোগ সামনে এসেছে। জানা গিয়েছে, ‘গান্ধীজির মৃত্যু দেশের সাম্প্রদায়িক পরিস্থিতির উপর অভূতপূর্ব প্রভাব ফেলেছিল’, ‘গান্ধীজি হিন্দু-মুসলিম ঐক্য চাইতেন। তাতেই হিন্দু চরমপন্থীরা ক্ষুব্ধ হন’, ‘রাষ্ট্রীয় স্বয়ম সেবক সঙ্ঘের মতো সংস্থাকে নিষিদ্ধ করা হয়েছিল‘, এমনই কিছু অংশ বাদ পড়েছে বলে।
যদিও NCERT-র দাবি, এ বছর এই পরিবর্তন ঘটানো হয়নি। গত বছর জুনে কিছু রদবদল করা হয়েছিল। NCERT-র দাবি, যে অংশ গুলি ‘অপ্রাসঙ্গিক’, ‘চাপিয়ে দেওয়া’ বলে মনে হয়েছে, সেগুলিকেই বাদ দেওয়া হয়েছে। গুজরাত দাঙ্গা, ঠান্ডা যুদ্ধ, নকশাল আন্দোলনের মতো আরও বেশ কিছু অংশ বাদ গিয়েছে বই থেকে। যদিও মহাত্মা গান্ধীকে নিয়ে লেখা কিছু অংশ বাদ দেওয়ার কথা NCERT উহ্যই রেখেছিল বলে অভিযোগ। কেন বিষয়টি জানানো হল না, তা নিয়ে কোনও মন্তব্য করেননি NCERT-র ডিরেক্টর দীনেশ সাকলানি।
NCERT-র ওয়েবসাইটে শুধু বলা হয়েছে, ‘কোভিড অতিমারিতে পড়ুয়াদের চাপ কমাতেই কিছু অংশ বাদ দেওয়া হয়েছে। ২০২০-র জাতীয় শিক্ষা নীতিও বোঝা কমানোর কথা বলেছিল, যাতে পড়ুয়ারা সৃজনশীল হতে পারে, অন্য আগ্রহ নিয়ে চর্চা করতে পারে। তাই সব ক্লাসের, সব পাঠ্যবইতেই কাটছাঁট করা হয়েছে’।
NCERT-র কাটছাঁটের সিদ্ধান্ত ঘিরে প্রশ্ন উঠছে
যদিও নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রকের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, জাতীয় শিক্ষানীতি অনুযায়ী পাঠ্যক্রম সাজানোর কাজ এখনও শেষ হয়নি। সেই অনুযায়ী নতুন পাঠ্যবই আনতে আনতে ২০২৪ হয়ে যাবে। তাই NCERT-র কাটছাঁটের সিদ্ধান্ত ঘিরে প্রশ্ন উঠছে।
তবে NCERT-র দাবি, খামোকা বিষয়টি নিয়ে জলঘোলা হচ্ছে। আগামী এক-দু'দিনের মধ্যেই এ নিয়ে জারি করা হবে বিজ্ঞপ্তি।
Education Loan Information:
Calculate Education Loan EMI