নয়াদিল্লি: পাঠ্যবই থেকে মুঘলদের কাহিনি বাদ দেওয়াকে ঘিরে ফের বিতর্কে কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রকের অধীনস্থ National Council of Educational Research and Training (NCERT). সপ্তম শ্রেণির সমাজ বিজ্ঞানের বই থেকে মুঘল, দিল্লির সুলতানদের গোটা অধ্যায় তারা ছেঁটে ফেলেছে। পরিবর্তে বইয়ে জায়গা পেয়েছে কুম্ভমেলার কাহিনি। আর সেই নিয়ে বিতর্ক তুঙ্গে উঠেছে। (NCERT Books)

Continues below advertisement

২০২৫-’২৬ শিক্ষাবর্ষে সপ্তম শ্রেণির সমাজ বিজ্ঞান বইয়ে কাটছাঁট করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। দিল্লির সুলতান এবং মুঘলদের নিয়ে লেখা গোটা অধ্যায়ই বাদ দেওয়া হয়েছে বলে খবর। পরিবর্তে সেখানে মৌর্য, সাতবাহন, শুঙ্গ সাম্রাজ্য ঢোকানো হয়েছে। তাদের সাংস্কৃতিক এবং ধর্মীয় রীতিনীতির বিশদ ব্যাখ্যা রয়েছে বইয়ে। (Distortion of History)

মধ্যযুগের ভারতকে চিনতে এতদিন সুলতান, মুঘলদের সঙ্গে পরিচিত করে তোলা হতো পড়ুয়াদের। কিন্তু নয়া যে বই আনা হয়েছে, তাতে গুপ্তযুগ পর্যন্তই ইতিহাস লেখা রয়েছে। প্রায় ১ হাজার বছরের রাজনৈতিক এবং সাংস্কৃতিক ইতিহাস পাল্টে ফেলা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠতে শুরু করেছে।

Continues below advertisement

জানা গিয়েছে, ‘How the Land Becomes Sacred’ নামের একটি অধ্যায় যুক্ত করা হয়েছে, যাতে ভারতের তীর্থক্ষেত্রগুলির উল্লেখ রয়েছে। কুম্ভমেলার মাহাত্ম্য বর্ণনা করা হয়েছে সেখানে। এর আগেও বার বার NCERT-র বিরুদ্ধে ইতিহাস বিকৃত করার, শিক্ষার গৈরিকীকরণের অভিযোগ উঠেছে। নতুন করে সেই বিতর্ক মাথাচাড়া দিল। 

বিষয়টি নিয়ে মুখ খুলেছেন পশ্চিমবঙ্গের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। তাঁর বক্তব্য, ‘সপ্তম শ্রেণির সমাজ বিজ্ঞান বইয়ে মুঘল এবং দিল্লির সুলতানদের অধ্যায় বাদ দিয়েছে NCERT. পরিবর্তে প্রাচীন রাজবংশ এবং ‘পবিত্র ভূগোল’ আনা হচ্ছে। ইতিহাসের ব্যাখ্যা ভিন্ন হতেই পারে, কিন্তু ঐতিহাসিক তথ্য মুছে ফেলা যায় না। মুঘলদের বাদ দিয়ে মধ্যযুগর ইতিহাস লিখলে ইতিহাস বিকৃতি হয়। মনে রাখবেন, ইতিহাসের কিন্তু পুনরাবৃত্তি ঘটে- আজ যারা ইতিহাস মুছে ফেলছে, একদিন তাদেরও বাদ দেওয়া হতে পারে’। CBSE বোর্ডের প্রায় ৩০ হাজার স্কুলে NCERT-র বই পড়ানো হয় পড়ুয়াদের।

NCERT-র গণিতের বই নিয়েও বিতর্ক দেখা দিয়েছে। কারণ চতুর্থ শ্রেণির বইয়ে গণ্ডারের দু'টি শিং আছে বলে দেখানো হয়েছে। বাস্তবে ভারতীয় গণ্ডারদের একটিই শিং আছে। বিলুপ্ত হওয়ার মুখ থেকে ফিরিয়ে আনা হয়েছিল তাদের। সংরক্ষণে উদ্যোগী হওয়ায় অসমের কাজিরাঙা অরণ্যে তাদের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে উল্লেখযোগ্য হারে। পড়ুয়াদের ভুল তথ্য পড়ানো হচ্ছে কেন, প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছেন অনেকেই।


Education Loan Information:

Calculate Education Loan EMI