পুণে : 'দলে কোনও বিভাজনই হয়নি !' এমনই দাবি করলেন ন্যাশনালিস্ট কংগ্রেস পার্টি তথা NCP সুপ্রিমো শরদ পাওয়ার (Sharad Pawar)। এমনকী মহারাষ্ট্রের উপ মুখ্যমন্ত্রী অজিত পাওয়ারও তাঁদের দলেরই নেতা আছেন বলে জানান তিনি। বর্ষীয়ান রাজনীতিকের এহেন দাবিতে শোরগোল পড়ে গেছে জাতীয় রাজনীতিতে। শরদ পাওয়ারের বক্তব্য, ভিন্ন রাজনৈতিক অবস্থান নিয়ে কিছু নেতা NCP ছেড়েছেন, কিন্তু এটাকে বিভাজন বলা যাবে না।
মহারাষ্ট্রের কোলহাপুরে আজ সভা রয়েছে শরদ পাওয়ারের। সেই কর্মসূচিতে যোগ দিতে বেরনোর আগে পুণের জেলায় নিজের হোমটাউন বারামতিতে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন NCP সুপ্রিমো। একদিন আগেই তাঁর কন্যা সুপ্রিয়া সুলে অজিত পাওয়ারকে সিনিয়র নেতা ও দলের বিধায়ক বলেছিলেন। সাংসদ সুপ্রিয়া বলেছেন, "উনি (অজিত পাওয়ার) এখন একটা অবস্থান নিয়েছেন। যেটা দলের বিরোধী। আমরা বিধানসভার অধ্যক্ষের কাছে অভিযোগ জমা দিয়েছি। তাঁর জবাবের অপেক্ষা করছি।"
যখন এনিয়ে জানতে চাওয়া হয় এনসিপি সুপ্রিমোর কাছে তখন তিনি বলেন, "কী করে কেউ বলতে পারেন যে এনসিপি ভাগ হয়ে গেছে। অজিত পাওয়ার যে আমাদের দলের নেতা এনিয়ে কোনও প্রশ্নই উঠতে পারে না।"
তাঁর সংযোজন, "একটা রাজনৈতিক দল ভাগ হয়ে যাওয়া বলতে কী বোঝায় ? যখন কোনও একটা দলের বড় অংশ জাতীয় স্তরে আলাদা হয়ে যায়, তখন তাকে বিভাজন বলে। কিন্তু, এখানে তো এমন কিছু ঘটেনি। কেউ কেউ দল ছেড়ে গেছেন। কেউ কেউ পৃথক অবস্থান নিয়েছেন। গণতন্ত্রে তাঁরা এমন সিদ্ধান্ত নিতেই পারেন।"
গত ২ জুলাই একনাথ শিণ্ডে-নেতৃত্বাধীন শিবসেনা-বিজেপি সরকারে যোগ দেন অজিত পাওয়ার-সহ ৮ এনসিপি বিধায়ক। এক প্রশ্নের উত্তরে এপ্রসঙ্গে শরদ পাওয়া বলেন, "এনসিপি, উদ্ধব ঠাকরে নেতৃত্বাধীন শিবসেনা ও কংগ্রেসের মহা বিকাশ অঘাড়ি মহারাষ্ট্রে বিজেপি নেতৃত্বাধীন ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক অ্যালায়েন্সের থেকে অনেক ভাল ফল করবে ২০২৪-এর লোকসভা নির্বাচনে।" এই পরিস্থিতিতে আগামী ৩১ অগাস্ট ও ১ সেপ্টেম্বর বিরোধী শিবির I.N.D.I.A-র তৃতীয় বৈঠক রয়েছে মুম্বইয়ে।
পেঁয়াজের রফতানি শুল্ক প্রসঙ্গে বর্ষীয়ান এই রাজনীতিক বলেন, " পেঁয়াজের রফতানিতে ৪০ শতাংশ শুল্ক কমানো উচিত সরকারের। পেঁয়াজ চাষিদের কোনও লাভ নেই। প্রত্যেকেই জানেন, পেঁয়ায় আবাদযোগ্য শস্য। তাই, এই সংবেদনশীল বিষয়টি দেখা উচিত সরকারের।"
আরও পড়ুন ; অজিত-পদক্ষেপের পিছনে শরদ-মস্তিষ্ক! ইঙ্গিত রাজ ঠাকরের