নয়াদিল্লি: মেডিক্যাল প্রবেশিকা পরীক্ষায় অনিয়ম এবং দুর্নীতির অভিযোগ। সেই নিয়ে এবার ন্যাশনাল টেস্টিং এজেন্সিকে নোটিস দিল সুপ্রিম কোর্ট। 'পরীক্ষার পবিত্রতা নষ্ট হয়েছে' বলে মন্তব্য করল শীর্ষ আদালত। এ নিয়ে NTA-র জবাব চাওয়া হয়েছে। ২০২৪ সালের NEET পরীক্ষার ফলাফল বাতিলের দাবি জানিয়ে যে আবেদন জমা পড়েছিল, সেই নিয়ে যদিও কোনও সিদ্ধান্তে পৌঁছয়নি আদালত। কাউন্সেলিং প্রক্রিয়াতেও স্থগিতাদেশ দেওয়া হয়নি। (NEET Hearing)


NEET-এর ফলাফল বাতিলের দাবি জানিয়ে আদালতে আবেদন জমা পড়েছিল। মঙ্গলবার সেই আবেদনের শুনানি চলছিল। সেখানে NTA-র উদ্দেশে আদালত বলে, "বিষয়টি মোটেই সহজ নয়। আপনারা পরীক্ষা নিয়েছেন, তার পবিত্রতার প্রশ্ন জড়িয়ে রয়েছে। পরীক্ষার পবিত্রতা নষ্ট হয়েছে। আমাদের জবাব চাই।" NTA-কে নোটিস ধরিয়েছে আদালত।(NEET Result Controversy)


তবে কাউন্সেলিংয়ে কোনও স্থগিতাদেশ দেয়নি আদালত। বিচারপতি বিক্রম নাথ, আহসানুদ্দিন আমানুল্লা বলেন, "আমরা কাউন্সেলিং বন্ধ করছি না।" আগামী ৮ জুলাই এই মামলার পরবর্তী শুনানি। শুনানি করবেন প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়।


আইনজীবী জেসাই দীপক বলেন, "একাধিক পিটিশন জমা পড়েছে আদালতে। রেজাল্টনিয়ে কিছু পিটিশন জমা পড়েছে, সেখানে প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগ রয়েছে। সেই পিটিশনের ভিত্তিতেই নোটিস দিয়েছে আদালত। আমদের পিটিশন আলাদা। ২০ হাজার পড়ুয়ার সই জোগাড় করেছেন আলেখ পাণ্ডে, যাতে দেখা যাচ্ছে গ্রেস মার্ক হিসেবে ৭০-৮০ নম্বর  দিয়ে দেওয়া হয়েছে প্রায় ১৫০০ পড়ুয়াকে। এই গ্রেস মার্কের বিরুদ্ধে আবেদন আমাদের। আমাদের আবেদনও শোনা হবে বলে ইঙ্গিত দিয়েছে আদালত। তবে কাউন্সেলিং-এর উপর আপাতত স্থগিতাদেশ দেবে না বলে জানিয়েছে।"



আরও পড়ুন: Tax Devolution to States: ভোট মিটতেই রাজ্যের করের টাকা মেটানোয় সায় কেন্দ্রের, বকেয়ার তুলনায় নগণ্য, দাবি বিরোধীদের


এদিন যে আবেদনটির শুনানি চলছিল আদালতে, তাতে প্রাপ্ত নম্বরে অসঙ্গতির কথা তুলে ধরা হয়েছিল। পাশাপাশি, কিছু পরীক্ষার্থীকে বাড়তি সুবিধা পাইয়ে দেওয়ার অভিযোগও তোলা হয়। ৫ মে যে NEETনেওয়া হয়েছিল, তার ফলাফল বাতিল করে নতুন করে পরীক্ষা নেওয়ার দাবি জানানো হয় আবেদনে। অন্ধ্রপ্রদেশ এবং তেলঙ্গনা থেকে ওই আবেদন জমা পড়ে। 


আদালতে এদিন আবেদনকারীদের তরফে বলা হয়, "পরিসংখ্যানগত ভাবে অসম্ভব নম্বর দেওয়া হয়েছে কিছু পরীক্ষার্থীকে। গ্রেস মার্ক কিসের ভিত্তিতে দেওয়া হয়েছে, কত দেওয়া হয়েছে, তাও যুক্তিসঙ্গত নয়। সেই নিয়ে কোনও আলাদা তালিকাও প্রকাশ করা হয়নি। পরীক্ষার আগেও গ্রেসমার্ক দেওয়ার কথা উল্লেখ করা হয়নি বুলেটিনে।"


শুধু তাই নয়, একটি কোচিং সেন্টারের ৬৭ জন পড়ুয়া ৭২০-র মধ্যে ৭২০ কী করে পেলেন, সেই নিয়েও প্রশ্ন তোলা হয়েছে আবেদনপত্রে। এমনকি NTA-র তরফে যে উত্তরপত্র প্রকাশ করা গয়, সেই নিয়েও প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। NTA-র তরফে যে উত্তরপত্র প্রকাশ করা হয়েছে, তাতে একটি উত্তর সঠিক নয় বলে প্রায় ১৩০০০ পরীক্ষার্থী দাবি করেছেন। 


ডাক্তারি প্রবেশিকা পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র ফাঁস হওয়া থেকে কারচুপি যে একেবারেই কাম্য নয় সেকথা উল্লেখ করেছেন আবেদনকারীরা। তাঁদের বক্তব্য, "ডাক্তারি প্রবেশিকা পরীক্ষায় বিজ্ঞান এবং চিকিৎসা বিজ্ঞান সম্পর্কে গভীর জ্ঞান থাকা কাম্য। অসাধু উপায়ে পরীক্ষায় পাস করা অপরাধ, এতে রোগীদের জীবনের ঝুঁকিও থাকে।"


এর আগে, ১৭ মে প্রধান বিচারপতি নেতৃত্বাধীন বেঞ্চও NEET নিয়ে একটি মামলার শুনানি করে। সেখানেও নোটিস দরানো হয়, তবে ফলাফল প্রকাশে স্থগিতাদেশ দেওয়া হয়নি। বিতর্কের মুখে পড়ে NTA-র তরফে উচ্চ পর্যায়ের কমিটি গঠন করা হয়েছে। ১৬০০ পরীক্ষার্থীর অভিযোগ খতিয়ে দেখবে ওই কমিটি।


Education Loan Information:

Calculate Education Loan EMI