কাঠমাণ্ডু(নেপাল) : পাকিস্তানের পঞ্জাব প্রদেশে মন্দিরে হামলার ঘটনার তীব্র নিন্দা করল নেপাল। পাশাপাশি প্রতিবেশী রাষ্ট্রের কাছে তারা আবেদন জানিয়েছে, সেখানে সংখ্যালঘু হিন্দুদের অধিকারকে সম্মান জানাতে। শুক্রবার নেপালের মানবাধিকার সংগঠনের তরফে কাঠমাণ্ডুতে পাকিস্তানের অ্য়াম্বাসাডরকে চিঠি লিখে ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়।
বুধবার পাকিস্তানের পঞ্জাব প্রদেশে হিন্দু মন্দিরে এই হামলার ঘটনা ঘটে। জ্বালিয়ে দেওয়া হয় মন্দিরের একাংশ। ভেঙে ফেলা হয়েছে মূর্তি। পুলিশ জানিয়েছে, রহিমা ইয়ার খান জেলায় এই হামলার ঘটনা ঘটেছে। যেখানে উত্তেজিত জনতা মন্দিরে ঢুকে হামলা চালায়। যে ভোঙ্গ শহরে হামলা হয়েছে, তা লাহোর থেকে ৫৯০ কিলোমিটার দূরে।
সেদিনই নিজের ট্যুইটার হ্যান্ডেলে মন্দিরে হামলার ভিডিয়ো পোস্ট করেন তেহরিক-ই-ইনসাফ পার্টির সাংসদ রমেশ কুমার ভঙ্কওয়ানি। প্রশাসনকে এই হামলা রোখার আবেদন করেন তিনি। একাধিক ট্যুইটে ভঙ্কওয়ানি লেখেন, ''মন্দিরে হামলা রুখতে ঢিলেমি দিয়েছে পুলিশ, যা অত্যন্ত লজ্জাজনক। এখনও এলাকায় টেনশন রয়েছে। হামলাকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিক প্রশাসন। এলাকায় শান্তি বজায় রাখুন। অবিলম্বে বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে দেখতে প্রধান বিচারপতির কাছে আবেদন জানাচ্ছি।''
এদিকে ঘটনার প্রতিবাদে ভারত 'হুংকার' দিতেই তড়িঘড়ি ব্যবস্থা নিতে বাধ্য হয় পাকিস্তান। হিন্দু মন্দিরে হামলা নিয়ে একযোগে প্রস্তাব পাশ হয় পাক সংসদে। দোষীদের বিরুদ্ধে উপযুক্ত পদক্ষেপ নেওয়ার কথা বলেন পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। পাক মন্দিরে হামলার প্রতিবাদে বৃহস্পতিবারই ডেকে পাঠানো হয় পাকিস্তানের হাই কমিশনের দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিককে। হিন্দু মন্দিরে হামলার ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ করেছে বিদেশমন্ত্রক। পাশাপাশি পাকিস্তানে ধর্মীয় স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে নয়া দিল্লি। বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচি বলেন, ''পাকিস্তানে সংখ্যালঘুদের ওপর হিংসা ও হেনস্থার ঘটনা ঘটেই চলেছে। অবাধে সংখ্যালঘুদের আরাধ্য স্থানে হামলার ঘটনা ঘটছে। মন্দিরের পাশাপাশি সেখানকার হিন্দুদের বাড়িতে হামলা হয়েছে। সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা দিতে পাক প্রশাসন ব্যর্থ।''