কলকাতা: ধৌলাগিরি পর্বতশৃঙ্গের দিকে যাওয়ার সময়, নিখোঁজ নেপালের (Nepal) বেসরকারি এয়ারলাইন্সের (Airlines) দুই ইঞ্জিন বিশিষ্ট বিমান (Flight)। খোঁজ মিলছে না মোট ২২ জন যাত্রীর। এদের মধ্যে ৪ জন ভারতীয় (Indian) ও ৩ জন জাপানি (Japanese) নাগরিকও রয়েছেন বলে খবর। ২২ জনকে নিয়ে জমসম যাওয়ার উদ্দেশে পোখরা থেকে উড়েছিল নেপালের তারা এয়ারের বিমানটি।
শেষ যোগাযোগ
শেষবার বিমানটিকে জমসমের আকাশে দেখা যায় বলে জানা গিয়েছে। এরপর ধৌলাগিরি পর্বতশৃঙ্গের দিকে চলে যায় বিমানটি। বিমানের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়ায় উদ্বেগ বাড়ছে।
আরও পড়ুন, স্বপ্নের উড়ান! গুগলে প্রায় দেড় কোটি টাকার চাকরি পেলেন কৃষ্ণনগরের দেবর্ষি
সংবাদসংস্থা এএনআইকে জেলা পুলিশের ডিএসপি রাম কুমার দানি বলেন, "বিমানটি পাহাড়ি মুস্তাং জেলার তিতি এলাকায় ভেঙে পড়তে পারে। কারণ ওই এলাকার স্থানীয়রা ফোন করে আমাদের জানিয়েছেন যে তাঁরা একটি অস্বাভাবিক শব্দ শুনেছেন , যেন কিছুর বিস্ফোরণ হয়েছে। সেখানে অনুসন্ধানের জন্য হেলিকপ্টার মোতায়েন করছি।"
নিখোঁজ বিমানের সন্ধানে নেপাল সরকার মুস্তাং ও পোখারা থেকে দুটি হেলিকপ্টার মোতায়েন করেছে বলে খবর। নেপাল সেনাবাহিনীর হেলিকপ্টারকেও অনুসন্ধানের জন্য মোতায়েন করার জন্য প্রস্তুত করা হচ্ছে, এমনটাই জানিয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের মুখপাত্র।
এই মুস্তাং এলাকাটি পাহাড় দিকে পরিবেষ্টিত। হিমালয় অঞ্চলগুলির মধ্যে পঞ্চম বৃহৎ এলাকা। এখানে মুক্তিনাথ মন্দিরও রয়েছে। যেখানে নিত্যদিনই ভক্তদের ভিড় লেগে থাকে। গোটা এলাকাটি অত্যন্ত রুক্ষ, শুষ্ক। এই জেলাতেই রয়েছে বিশ্বের সর্ববৃহৎ গিরিখাত যেটি বিস্তৃত রয়েছে ধৌলাগিরি এবং অন্নপূর্ণা পাহাড়ের মধ্য দিয়ে।