নয়া দিল্লি: নেপালে ভয়াবহ বিমান দুর্ঘটনা। এখনও পর্যন্ত ৫ ভারতীয়-সহ ৪০ জনের মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছে। কাঠমাণ্ডু থেকে পোখরা যাওয়ার পথে বিমানটি ভেঙে পড়ে। সঙ্গে সঙ্গে বিমানে আগুন ধরে যায়। ক্রু মেম্বার সহ সমস্ত যাত্রীদেরই মৃত্যু হয়েছে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
পোখরাগামী বিমানটির অবতরণের মাত্র ১০ সেকেন্ড বাকি ছিল। ঠিক তার আগেই ঘটে গেল ভয়াবহ দুর্ঘটনা। দ্রুত গতিতে নীচের দিকে নামতে শুরু করে বিমান। ভেঙে পড়ার সঙ্গে সঙ্গে আগুন ধরে যায় গোটা বিমানে। রবিবার সকালে ভয়াবহ বিমান দুর্ঘটনা ঘটল নেপালে। ইতিমধ্যেই ৫ ভারতীয়-সহ ৪০ জনের মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছে।
এদিন সকাল ১০টা ৩২ মিনিটে কাঠমাণ্ডুর ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে উড়েছিল ইয়েতি এয়ারলাইন্সের 9N ANC ATR72 বিমান। টেক অফের ২০ মিনিট পরই, ৭২ আসনের বিমানটি দুর্ঘটনার কবলে পড়ে। পোখরা বিমানবন্দরে নামার মাত্র ১০ সেকেন্ড আগে, দেড় কিলোমিটার দূরে সেতি নদীর কাছে বিমানটি ভেঙে পড়ে। সেইসময় বিমানটি ৩২ হাজার ফুট ওপরে উড়ছিল।
বিমানবন্দর সূত্রে খবর, পাইলট ATC-র সিগনাল পাওয়ার পর, বিমানটি আচমকা দ্রুত গতিতে নীচে নেমে আসে। ভেঙে পড়ার পর বিমানে আগুন ধরে যায়। বিমানে ৬৮ জন যাত্রী ও ৪ জন ক্রু ছিলেন। ২ শিশু ছাড়াও বিদেশি ছিলেন ১৫ জন। সংবাদ সংস্থা সূত্রে খবর, মৃত ৫ ভারতীয় হলেন সঞ্জয় জয়সওয়াল, সোনু জয়সওয়াল, অনিলকুমার রাজভড়, অভিষেক কুশওয়াহা ও বিশাল শর্মা। ৫ ভারতীয় ছাড়াও বিমানে ছিলেন ৫৩ জন নেপালি এবং ৪ জন রুশ নাগরিক। দক্ষিণ কোরিয়ার ২ জন, আর্জেন্তিনাা, ফ্রান্স এবং আয়ারল্যান্ডের ১ জন করে নাগরিক।
আরও পড়ুন, এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলারের সিগনাল পেয়েই দ্রুত নেমে আসে বিমান, দুর্ঘটনার পর উঠে আসছে তথ্য
দুর্ঘটনার খবর পেয়ে কাঠমাণ্ডুর ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কন্ট্রোল রুমে যান নেপালের প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। পোখরা বিমানবন্দর থেকে উড়ান পরিষেবা বন্ধ রাখা হয়েছে। নেপালের ভারতীয় দূতাবাস হেল্প লাইন নম্বর চালু করেছে। কাঠমাণ্ডুর হেল্প লাইন নম্বর হল 977-9851107021 এবং পোখরার হেল্প লাইন নম্বর 977-9856037699।
নেপালের বিমান দুর্ঘটনায় মৃতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়ে ট্যুইট করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পাশাপাশি আহতদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। দুর্ঘটনাগ্রস্ত বিমান থেকে জীবিত অবস্থায় ২ যাত্রীকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে বলে নেপাল প্রশাসনসূত্রে খবর। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাঁদের ভর্তি করা হয়েছে হাসপাতালে। কীভাবে ঘটল এই ভয়াবহ দুর্ঘটনা? জানতে ৫ সদস্যের কমিটি গঠন করে তদন্ত শুরু করেছে নেপাল সরকার।