নেপালে গণবিদ্রোহের আগুন থেকে প্রতিবাদীদের তাণ্ডব। নেপাল জুড়ে এখন যেন অরাজকতা। নেপালের প্রধানমন্ত্রী ওলি-র পদত্যাগের পরেও থামছে না হিংসা! কাঠমাণ্ডুতে ফের রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ-বিক্ষোভ হয়েছে বুধের সকাল থেকেই। সারাদেশ জুড়ে জ্বলছে আগুন। পুড়ে খাক হচ্ছে রাষ্ট্রের সম্পদ। দেশের ঐতিহ্য। এ যেন এক ধ্বংসের খেলা। সেনা দায়িত্ব নেওয়ার পরও পরিস্থিতি অনেকটাই এখনও হাতের বাইরে। বুধবার বিকেল ৫ পর্যন্ত কার্ফু জারি রয়েছে। রাতে শিথিল হতে পারে কার্ফু, জানিয়েছে সেনা ।
সারা দেশ জুড়ে অশান্তির ছবি। নিয়মভাঙার খেলা। সেনার হাতে ক্ষমতা আসার পরও দিকে দিকে জেল ভাঙার চেষ্টা করল প্রতিবাদীরা। ইয়ন সূত্রে খবর, দেশের বিভিন্ন কারাগার থেকে শত শত বন্দি পালিয়ে গেছে বলে জানা গেছে। সূত্রের খবর, সারা দেশ জুড়ে কমপক্ষে সাতটি কারাগার থেকে ১৫০০ জনেরও বেশি বন্দি পালিয়ে গিয়েছে। জেল পালানো অপরাধীদের আসল সংখ্যা আরও অনেক বেশি হতে পারে। বুধবার (১০ সেপ্টেম্বর) দেশজুড়ে অস্থিরতা প্রশমনের চেষ্টা করতে শক্ত হাতে হাল ধরেছে সেনা। দেশব্যাপী কার্ফু অব্যাহত রাখা হয়েছে। দাউ দাউ করে জ্বলছে একের পর এক সরকারি ভবন।
জানা গিয়েছে, দিল্লি বাজার জেল ভেঙে পালানোর চেষ্টা করেছে কয়েদিরা। রাতে জলেশ্বরে জেল ভেঙে উধাও হয়ে গিয়েছে ৯০০ জন কয়েদি। নৌবাস্তার বাঁকে জেলখানায় বেঁধে যায় ব্যাপক সংঘর্ষ। পরিস্থিতি বাগে আনতে সেখানে গুলি চালায় পুলিশ। ৫ বন্দির মৃত্যু হয়েছে বলেও খবর পুলিশ সূত্র মারফত। আহত হয়েছেন আরও বেশ কয়েকজন বন্দি। সংঘর্ষের মধ্যেই সেই জেল থেকে পালিয়ে গিয়ছে ২০০-র বেশি বন্দি । জানা গিয়েছে, এর মধ্যে ১৪৯ জন সাজাপ্রাপ্ত আসামি ও ৭৬ জন বিচারাধীন বন্দি। বাঁকে জেলখানায় রাখা হয় নাবালকদেরও, তাঁরাও অনেকে পলাতক বলে খবর পাওয়া গিয়েছে। এখন নেপালি সেনাবাহিনীর ঘেরাটোপে বাঁকে জেলখানা।
অন্যদিকে . নেপালের রক্সৌল সীমান্তে নতুন করে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে। রক্সৌল সীমান্তের ওপারে বীরগঞ্জে জেল ভাঙার চেষ্টা হয়েছে। গুলি করে বীরগঞ্জে জেল ভাঙা আটকায় নেপাল সেনা । গুলিবিদ্ধ হয় ৩ বন্দি। তাদের নিয়ে যাওয়া হয় হাসপাতালে ।
আজতকের প্রতিবেদন অনুসারে, জলেশ্বর কারাগারে ৫৭৭ জন বন্দির মধ্যে ৫৭৬ জন পালিয়ে গিয়েছে। অন্যান্য প্রকাশনা জানিয়েছে, পালিয়ে যাওয়া বন্দীর সংখ্যা ৯০০ এর কাছাকাছি। অপরাধীদের খুঁজে বের করে পুনরায় গ্রেফরের জন্য তৎপর হয়েছে সেনা।