নয়াদিল্লি: ভারতকে 'গণতন্ত্রের জননী' (India The Mother Of Democracy) হিসেবে পরিচিতি দিয়েছিলেন নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু-ই (PM On Netaji Subhash Chandra Bose Anniversary), তাঁর জন্মজয়ন্তীতে দাবি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির। মঙ্গলবার, লালকেল্লায় 'পরাক্রম দিবস' উদযাপনে যোগ দেন মোদি। বলেন, 'দাসত্ব যে শুধুমাত্র শাসনের সঙ্গে জড়িত নয়, বিষয়টির সঙ্গে যে ভাবনাচিন্তারও যোগ রয়েছে, তা বিলক্ষণ জানতেন নেতাজি। তাই সে সময়ে যুবসমাজকেও জেগে উঠতে আহ্বান জানিয়েছিলেন।'


প্রধানমন্ত্রীর কথা...
মোদির কথায়, 'বিশ্বের কিছু মানুষ ভারতে গণতন্ত্রের ভবিষ্যৎ নিয়ে সন্দিহান ছিলেন। নেতাজি তখন ভারতের গণতান্ত্রিক ইতিহাস, ঐতিহ্যের কথা মনে করিয়েছিলেন। বলেছিলেন, এটি একটি মানবিক প্রতিষ্ঠান যা কিনা ভারতের নানা অংশেই চালু রয়েছে।' এর পর লালকেল্লা ও আজাদ হিন্দ বাহিনীর কথাও শোনা গিয়েছে তাঁর মুখে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, 'আজাদ হিন্দ ফৌজের বীর সেনানিদের দেখেছে এই লালকেল্লা। আজ আবারও ঝলমল করছে এটি।'
এদিন লালকেল্লায় 'ভারত পর্ব ২০২৪'-র উদ্বোধন হয়। সেই প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, 'আগামী ৯দিন ধরে দেশের বৈচিত্র্যের দিকটি তুলে ধরা হবে। প্রজাতন্ত্র দিবসের ট্যাবলো এবং ভারত পর্বের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে এগুলি উপস্থাপন করা হবে।' নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর মতাদর্শের প্রতিফলনই যে 'ভারত পর্ব'-এ ধরা রয়েছে, সে কথাও মনে করান মোদি। বলেন, 'পর্যটন, বৈচিত্র্য এবং এক ভারত, শ্রেষ্ঠ ভারতের ভাবনাকে সর্বোচ্চ জায়গায় নিয়ে যাবে এটি। সকলকে অনুরোধ, ভারত পর্বের সঙ্গে সংযোগ স্থাপনের  চেষ্টা করুন, দেশের বৈচিত্র্যের দিকটি উদযাপন করুন।' নেতাজি জন্মজয়ন্তীর এই অনুষ্ঠানে অযোধ্যার রামমন্দির উদ্বোধনের প্রসঙ্গও আনেন তিনি। প্রধানমন্ত্রীর কথায়, 'গোটা বিশ্ব এবং সমগ্র মানবজাতি রামমন্দিরের প্রাণপ্রতিষ্ঠার আনন্দ অনুভব করেছেন।...আর আজ আমরা নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর জন্মজয়ন্তী উদযাপন করছি।'


বারাসতে আরএসএস প্রধান...
দিল্লির লালকেল্লায় যখন পরাক্রম দিবস উদযাপন করছেন প্রধানমন্ত্রী, তখন বারাসতের জনসভায় আরএসএস প্রধান মোহন ভাগবতকে বলতে শোনা যায়, 'এ দেশে অনেক জাতি-উপজাতি-ভাষা-ধর্ম রয়েছে। তবে দেশ এই সমস্ত কিছুর উপরে, এমনই মনে করতেন নেতাজি।' নেতাজি জন্মজয়ন্তীতেই বারাসতে জনসভা ছিল ভাগবতের। সেখানে তিনি আরও বলেন, 'আকণ্ঠ দেশপ্রেম ওঁর জীবনের মূল মন্ত্র ছিল।' সঙ্গে সংযোজন, 'ব্রিটিশ সাম্রাজ্যে কখনও সূর্যাস্ত হয় না, এই ধরনের অহংমিশ্রিত কথা বলতেন ঔপনেবেশিক শাসকরা। সেই তাঁদের গদি ছাড়তে বাধ্য করেছিলেন নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু।'  


আরও পড়ুন:উদ্বোধনের পরদিনই সাধারণ ভক্তদের স্রোতে মিশলেন, 'বিশেষ পোশাকে'ও অনুপমকে চিনে ফেললেন রামমন্দিরের দর্শনার্থী!