নয়াদিল্লি: করোনা-আবহে দেশে হাইড্রক্সিক্লোরোকুইনের চাহিদা গগবচুম্বী হলেও, বাকিদের বিক্রি অনেকটাই কমে গিয়েছে বলে দাবি। বিশেষ করে, এখন সংক্রমণাত্মক ব্যধি বলতে দেশে করোনা-রাজ চলছে। বাকি, এই সময় যে অন্য সংক্রামক ব্যধি সাধারণত ছেয়ে থাকে, লকডাউনের জেরে সেগুলি অনেকটাই কমে গিয়েছে। ফলে, কমে গিয়েছে অষুধ বিক্রিও।


লকডাউনের গোড়াকর দিকে, একটা সময়ে ওষুধের দোকানে বিক্রির জোয়ার এসেছিল। কিন্তু, এখন চিত্রটা একেবারে ভিন্ন। বহু জায়গায় প্রচুর ওষুধ স্টক করা থাকলেও, চাহিদা নেই। রিপোর্ট বলছে, সংক্রমণ-রোধ ওষুধের বিক্রি এপ্রিল মাসে ৩৪ শতাংশ কমেছে। শ্বাসকষ্ট জনিত সমস্যার ওষুধ (আস্থামা সহ) বিক্রি ২০ শতাংশ কমেছে। পেইনকিলারের বিক্র কমেছে ২৭ শতাংশ। এই তথ্য প্রকাশ করেছে কেমিস্ট ও ড্রাগিস্টের সর্বভারতীয় সংগঠন।

সংগঠনের তরফে জানানো হয়েছে, এটা স্পষ্ট যে, লকডাউনের ফলে এই পরিস্থিতি। কোভিড-১৯ এর ফলে এখন মানুষ স্বাস্থ্যের বিষয়ে অনেক বেশি সচেতন হয়ে উঠেছেন। ভ্যাক্সিনের বিক্রি ৭০ শতাংশ কমে গিয়েছে। কারণ, লকডাউন শেষ না হলে শিশু-চিকিৎসকরাও ভ্যাক্সিনেশন করাচ্ছেন না। আবার, ত্বক জনিত বিভাগ-- ৩০ শতাংশ কমেছে।

রিপোর্ট বলছে, অন্যদিকে ডায়াবেটিস ও হৃদজনিত সমস্যার ওষুধ বিক্রি একমাত্র ১দ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। এর কারণ, করোনা আতঙ্কে অনেকে আগেভাগে কিনে রেখে দিয়েছেন। তবে, ক্যান্সারের ওষুধরেও বিক্রি দেশে কমে গিয়েছে। কারণ, এখন কোভিড লকডাউনের জেরে কেমোথেরাপি হচ্ছে না।