কলকাতা : ভোট পরবর্তী অশান্তি নিয়ে নবান্নে রাজ্য পুলিশের ডিজি-র সঙ্গে বৈঠক জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের। এদিন জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের দুই প্রতিনিধি ডিজি বীরেন্দ্রর সঙ্গে আধ ঘণ্টা ধরে বৈঠক করেন।
নবান্ন সূত্রে খবর, বেশ কয়েক জায়গায় পরিদর্শনে গিয়ে আক্রান্তদের সঙ্গে কথা বলেছে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের প্রতিনিধিদল। এরপর রাজ্য সরকারের প্রতিনিধিদের সঙ্গে কথা বলে তথ্য বিনিময় করেন জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের প্রতিনিধিরা।
প্রসঙ্গত, রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় ভোট পরবর্তী হিংসার অভিযোগ উঠেছে। প্রতিবাদ জানিয়েছে বিজেপি। তাদের কর্মী-সমর্থকদের উপর হামলা চালানো হচ্ছে বলে অভিযোগ। এনিয়ে বারবার সরব হয়েছেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়। বাংলার ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠিও লেখেন তিনি। চিঠিতে রাজ্যপাল অভিযোগ করেন, বাংলায় ভোট পরবর্তী হিংসা, রক্তপাত, মানবাধিকার লঙ্ঘন থামছে না। নারী নির্যাতন, বিরোধীদের সম্পত্তি ধ্বংস হয়েই চলছে। অথচ, এই নিয়ে আপনি আশ্চর্যজনকভাবে নীরব এবং নিষ্ক্রিয়। বারবার দৃষ্টি আকর্ষণের পরেও, মুখ্যমন্ত্রী মন্ত্রিসভায় একদিনও এ ব্যাপারে আলোচনা করেননি।
গত ১৮ জুন কলকাতা হাইকোর্টের পাঁচ বিচারপতির বৃহত্তর বেঞ্চ নির্দেশ দিয়েছিল, ভোট পরবর্তী হিংসার ঘটনায় জাতীয় মানবাধিকার কমিশন একটি বিশেষ কমিটি গঠন করবে। তারা এরাজ্যে এসে গোটা প্রক্রিয়াটা অনুসন্ধান করে দেখে কলকাতা হাইকোর্টের কাছে একটি রিপোর্ট পেশ করবে। সেই নির্দেশের পুনর্বিবেচনার আর্জি জানিয়ে রাজ্যের তরফে কলকাতা হাইকোর্টে পাঁচ বিচারপতির বেঞ্চের কাছে আবেদন করা হয়েছিল। যদিও তা খারিজ করে দেয় হাইকোর্টে। উপরন্তু বিচারপতি হরিশ ট্যান্ডন মন্তব্য করেন, জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের কাছে ৫৪১টি অভিযোগ জমা পড়েছে। অথচ রাজ্য মানবাধিকার কমিশনের কাছে একটিও অভিযোগ জমা পড়েনি...এমনটা কেন হবে ? এই প্রশ্ন তোলেন তিনি।
এর পর ভোট পরবর্তী হিংসা খতিয়ে দেখতে গতমাসের শেষদিকে রাজ্যে ৭ সদস্যের প্রতিনিধিদল আসে। রাজীব জৈনের নেতৃত্বে আসে প্রতিনিধিদলটি। হিংসা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে হাড়োয়ায় যান কমিশনের সদস্যরা। আরও কয়েক জায়গায় পরিস্থিতি খতিয়ে দেখেন। এর পর আজ দেখা করলেন ডিজির সঙ্গে।