কাশ্মীর: জম্মুর বেলিচারানা থেকে ২ সন্দেহভাজনকে আটক করল তদন্তকারী সংস্থা এনআইএ। উভয়ের বিরুদ্ধে জঙ্গি সংগঠনগুলিকে সাহায্য করার অভিযোগ উঠেছে। ঘটনায় তদন্ত চলছে। আজই জম্মুতে ৫ কেজি বিস্ফোরক-সহ গ্রেফতার করা হয়েছে এক লস্কর জঙ্গিকে। পরে আরও ২ সন্দেহভাজনকে আটক করা হয়।
পাঠানকোটের বায়ুসেনা ঘাঁটিতে হামলার ৫ বছর পর এবার জঙ্গি টার্গেটে জম্মুর এয়ারফোর্স স্টেশন। ড্রোনের মাধ্যমে গভীর রাতে জোড়া বিস্ফোরণ। বায়ুসেনা সূত্রের খবর, বিস্ফোরণে আহত হয়েছেন ২ জওয়ান। তবে কোনও যুদ্ধবিমানের ক্ষতি হয়নি। হামলার তদন্তে নেমেছে এনআইএ। হামলার নেপথ্যে পাকিস্তান-যোগ আরও স্পষ্ট হয়েছে।
পাঠানকোট, পুলওয়ামা! এতদিন লোন উলফ্ কিংবা গ্রাউন্ড অ্যাটাক করতে দেখা গেছে জঙ্গিদের। তবে এবার যা হল তা অত্যন্ত ভয়ঙ্কর। একেবারে ড্রোন উড়িয়ে জম্মু এয়ারস্টেশনের মতো গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় জোড়া বিস্ফোরণ।
অবসরপ্রাপ্ত সেনাকর্তা মেজর জেনারেল কে কে গঙ্গোপাধ্যায় জানিয়েছেন, 'ড্রোনকে খুঁজে বের করাটা গুরুত্বপূর্ণ, টার্গেট অ্যাচিভ করা সম্ভব, এটা নতুন থ্রেট তৈরি করে দিল, এর আগে এরকম কখনও হয়নি।'
একই দিনে জম্মু এয়ারবেসে বিস্ফোরণ এবং কয়েক কিলোমিটার দূরে ৫ কেজি বিস্ফোরক-সহ লস্কর জঙ্গির ধরা পড়ার পর, পাকিস্তান-যোগ আরও স্পষ্ট হয়েছে।
NIA এবং এয়ারফোর্সের তদন্তকারী দলের প্রাথমিক অনুমান, কড়া নজরদারি পেরিয়ে, আকাশসীমা লঙ্ঘন করে সীমান্তের ওপার থেকে ড্রোন আসেনি। তা ওড়ানো হয়েছিল এয়ারবেসের কাছাকাছি কোনও এলাকা থেকে।
বায়ুসেনার এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোল বিল্ডিং ও MI সেভেন্টিন চপারকে টার্গেট করা হয়েছিল বলে অনুমান করছেন তদন্তকারীরা। কিন্তু, যেভাবে ড্রোন উড়িয়ে হামলার ছক কষা হয়েছিল, এবং তা সুরক্ষা বাহিনীর রেডারে ধরা পড়ল না, তাতে সিঁদুরে মেঘ দেখছেন সবাই।
জম্মু-কাশ্মীর ইস্যুতে এমনিতেই তেতে আছে রাজনীতি। গত ২৪ জুন এই ইস্যুতে উপত্যকার ৮টি দলের সঙ্গে বৈঠক করেন প্রধানমন্ত্রী। বৈঠকে জম্মু-কাশ্মীরের রাজ্যের মর্যাদা ফেরানো এবং দ্রুত বিধানসভা ভোট করানোর দাবিও ওঠে। বৈঠকের ৩ দিনের মাথায় জম্মু এয়ারফোর্স স্টেশনে ড্রোন হামলা। যা নিয়ে তুঙ্গে রাজনীতি।
চাঞ্চল্যকর বিষয় এটাই যে, জম্মু-কাশ্মীরে পাকিস্তানি জঙ্গিদের গতিবিধি বেড়েছে, সে ব্যাপারে গত ২১ তারিখই সতর্ক করেছিলেন জম্মু-কাশ্মীর পুলিশের ডিজিপি দিলবাগ সিংহ। আর সেই সতর্কবার্তার সপ্তাহ ঘুরতে না ঘুরতেই হামলা হল জম্মু-কাশ্মীরের এয়ারফোর্স স্টেশনে।