নয়াদিল্লি: নির্ভয়াকাণ্ডের চার অপরাধীর মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হওয়ার কথা ৩ মার্চ, সকাল ৬টায়। তার চারদিন আগে ২৩ বছরের প্যারামেডিকেল ছাত্রীর রাজধানীর রাতের চলন্ত বাসে গণধর্ষণ, হত্যার ঘটনায় দোষীদের একজন, পবন কুমার গুপ্তা সুপ্রিম কোর্টে কিউরেটিভ পিটিশন জমা দিল। মৃত্যুদণ্ড রদ করে তাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়ার আবেদন করেছে পবন। নির্ভয়া মামলার বাকি তিন অপরাধীই ফাঁসির দড়ি থেকে রেহাই পাওয়ার যাবতীয় আইনি সুরাহার রাস্তা প্রয়োগ করেছে। কেউই অবশ্য সফল হয়নি। মুকেশ কুমার সিংহ, বিনয় কুমার শর্মা ও অক্ষয় কুমার-তিন অপরাধীর ক্ষমাভিক্ষার আর্জিই নাকচ করেছেন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ।
একমাত্র ২৫ বছরের পবনই আইনি রক্ষাকবচ প্রয়োগ করেনি এতদিন। প্রথমে কিউরেটিভ পিটিশন পেশ, তারপর রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষার আবেদন জানানো-এই দুটি পথ এখনও খোলা রয়েছে পবনের সামনে। এবার সে-ও সেদিকে পা দিল।
প্রাণভিক্ষার আর্জি খারিজের সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে মুকেশ কুমার সিংহ, বিনয় কুমার শর্মা যে আবেদন করেছিল, তা আগেই খারিজ করেছে সুপ্রিম কোর্ট। অক্ষয় কুমার এখনও প্রাণভিক্ষার পিটিশন খারিজ হওয়ার নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানায়নি।
দিল্লির এক আদালত গত ১৭ ফেব্রুয়ারি জানিয়ে দেয়, ৩ মার্চ চার অপরাধীরই মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করতে হবে। এটি আদালতের জারি করা তৃতীয় মৃত্যু পরোয়ানা। অপরাধীরা হাতের সামনে খোলা থাকা যাবতীয় আইনি সুরাহা কাজে লাগানোয় আগের দুটি কার্যকর করা সম্ভব হয়নি।
এই চারজন, ২০১২-র ১৬ ডিসেম্বর রাতে নির্ভয়াকে চলন্ত বাসে ধর্ষণ করে, তার যৌনাঙ্গে লোহার রড ঢুকিয়ে অত্যাচার করে। ২৯ ডিসেম্বর সিঙ্গাপুরের এক হাসপাতালে মৃত্যু হয় তার।
সেদিন চারজনের সঙ্গে ছিল আরও দুজন, যাদের মধ্যে ছিল এক নাবালকও। ঘটনার সময় তার বয়স ছিল ১৮ বছরের কয়েকদিন কম। আইনি সুরাহার সুবাদে তিন বছর সংশোধনাদগারে কাটানোর পর সে ছাড়া পায়। মূল অভিযুক্ত রাম সিংহ কারাগারেই গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করে।