LIVE UPDATE: ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পকে দেউলিয়া ঘোষণার সীমা বৃদ্ধি, ১০০ দিনের কাজে অতিরিক্ত ৪০ হাজার কোটি: নির্মলা
করোনা পরিস্থিতিতে দেশের অর্থনীতির হাল ফেরাতে ২০ লক্ষ কোটি টাকার আর্থিক প্যাকেজের ঘোষণা করেছেন প্রধানমন্ত্রী।
ওয়েব ডেস্ক, এবিপি আনন্দLast Updated: 17 May 2020 12:42 PM
প্রেক্ষাপট
নয়াদিল্লি: মোদির ২০ লক্ষ কোটি টাকার প্যাকেজে আজ কোন ক্ষেত্রে নজর? বিকেল ৪টেয় ফের চতুর্থ দফার ঘোষণা করবেন সীতারমণ।করোনা পরিস্থিতিতে দেশের অর্থনীতির হাল ফেরাতে ২০ লক্ষ কোটি টাকার আর্থিক প্যাকেজের...More
নয়াদিল্লি: মোদির ২০ লক্ষ কোটি টাকার প্যাকেজে আজ কোন ক্ষেত্রে নজর? বিকেল ৪টেয় ফের চতুর্থ দফার ঘোষণা করবেন সীতারমণ।করোনা পরিস্থিতিতে দেশের অর্থনীতির হাল ফেরাতে ২০ লক্ষ কোটি টাকার আর্থিক প্যাকেজের ঘোষণা করেছেন প্রধানমন্ত্রী। সেই প্যাকেজের তৃতীয় কিস্তির ব্যাখ্যায় অর্থমন্ত্রী শুক্রবার বলেন, কৃষি, পশুপালন ও মৎস্যচাষে গুরুত্ব দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। এদিন মোট ৮টি পদক্ষেপ ঘোষণা করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। কৃষকের আয় বৃদ্ধি, পরিকাঠামোর উন্নয়নের জন্য ১ লক্ষ কোটি টাকার প্যাকেজ। ক্ষুদ্র খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ শিল্পের উন্নয়নে প্যাকেজ - ১০ হাজার কোটি টাকা।প্রধানমন্ত্রী মৎস্য সম্পদ যোজনার মাধ্যমে মৎস্যজীবীদের উন্নয়নে ২০ হাজার কোটি টাকার প্যাকেজ। যার লক্ষ্য - সামুদ্রিক মাছ রফতানি বৃদ্ধি করে ৫৫ লক্ষ মত্স্যজীবীর উন্নয়ন। ৫৩ কোটি গবাদিপশুর টিকাকরণে ১৩ হাজার ৩৪৩ কোটির প্যাকেজ। ডেয়ারি শিল্পের উন্নয়নে ১৫ হাজার কোটি টাকা। ভেষজ ও ঔষধি উদ্ভিদ উৎপাদনে ৪ হাজার কোটি। গ্রামীণ এলাকায় ২ লক্ষ মৌমাছি পালকের উন্নয়নে ৫০০ কোটি টাকা। এবং কৃষিপণ্য পরিবহণের উন্নয়নে আরও ৫০০ কোটি টাকার প্যাকেজ ঘোষণা করেছেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী।
সীতারমণ বলেন, ‘রাজ্যগুলিকে ইতিমধ্যেই ১১ হাজার কোটি টাকার বেশি দেওয়া হয়েছে। স্বাস্থ্যমন্ত্রকের তরফে ৪ হাজার কোটি টাকার বেশি দেওয়া হয়েছে। রাজ্যগুলি টানা ৩ সপ্তাহের জন্য রিজার্ভ ব্যাঙ্কের থেকে ওভারড্রাফট করতে পারবে। রাজ্যগুলি ৮৬ শতাংশ পর্যন্ত ঋণ নেওয়ায় ছাড় দেওয়া হয়েছে। জিডিপি-র নিরিখে ৩ শতাংশের পরিবর্তে ৫ শতাংশ ঋণ নেওয়ায় ছাড়। ফলে ৪.২৮ লক্ষ কোটি টাকা রাজ্যগুলি বাজার থেকে ঋণ নিতে পারবে।’
সীতারমণ বলেন, ‘ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পকে দেউলিয়া ঘোষণার সীমা বৃদ্ধি। ১ লক্ষ টাকা থেকে ১ কোটি টাকা করার সিদ্ধান্ত। ছোটখাটো ত্রুটির ক্ষেত্রে আইনি পদক্ষেপ করা হবে না।
সীতারমণ বলেন, ‘গ্রাম ও শহরে স্বাস্থ্যক্ষেত্রে খরচ বৃদ্ধি পেয়েছে। গ্রামীণ এলাকায় মহামারী মোকাবিলার পরিকাঠামো বাড়ানো হচ্ছে। হাসপাতালগুলিতে সংক্রমণ রোগের চিকিসার ব্যবস্থা হবে। দেশের সব জেলায় সংক্রমণ রোগের পরীক্ষার জন্য ল্যাব তৈরি হবে।
সীতারমণ বলেন, ‘প্রযুক্তির মাধ্যমে ভার্চুয়াল ক্লাসের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। সব রাজ্যে ই-টেক্সট বুক পাঠানো হবে। ওয়ান ক্লাস, ওয়ান চ্যানেল শুরু হতে চলেছে। রেডিও-র মাধ্যমেও ক্লাস করানোর ব্যবস্থা করা হবে। ‘বিশেষ ভাবে সক্ষমদের জন্যেও ই-কনটেন্টের ব্যবস্থা হবে।
সীতারমণ বলেন,‘করোনা মোকাবিলায় ৭ দফা পদক্ষেপ করছে কেন্দ্র। ১৫ হাজার কোটি টাকা করোনা মোকাবিলায় বরাদ্দ হয়েছে। স্বাস্থ্যকর্মীদের নিরাপত্তার স্বার্থে দেশেই পিপিই তৈরি হচ্ছে। দেশে ৩০০-র বেশি পিপিই তৈরির সংস্থা গড়ে উঠেছে।
সীতারমণ বলেন, ‘কৃষকদের অ্যাকাউন্টে সরাসরি টাকা পৌঁছে যাচ্ছে। জনধন অ্যাকাউন্টে ২০ কোটি মানুষকে ১০,২২৫ কোটি দেওয়া হয়েছে। উজ্জ্বলা প্রকল্পে বিনামূল্যে রান্নার গ্যাস দেওয়া হয়েছে। ৬ কোটি ৮১ লক্ষ পরিবার উপকৃত হয়েছেন।’
রবিবার, সকাল ১১ টায় পঞ্চম দফার কেন্দ্রের মোট ২০ লক্ষ কোটি টাকার আর্থিক প্যাকেজ সম্পর্কে ঘোষণা করবেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ।
গতকাল চতুর্থ দফার স্টিমুলাস ঘোষণায় ৮টি ক্ষেত্রে পরিকাঠামোর সংস্কারের কথা বলেন সীতারমণ। সেই আটটি সেক্টরগুলি হল-- কয়লা, খনিজ পদার্থ, প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম উৎপাদন, এয়ারস্পেস ম্যানেজমেন্ট, বিদ্যুৎবণ্টন, মহাকাশ, পরমাণু শক্তি।
সীতারমণ জানান, দেশের অর্থনীতিকে চাঙ্গা করতে এবং বিভিন্ন ক্ষেত্রকে সহায়তা দিতে বিগত কয়েকদিন ধরেই তিনি একাধিক পদক্ষেপ ঘোষণা করেছেন। তিনি বলেন, আমরা একইসঙ্গে এটাও নিশ্চিত করতে চাই যে, কর জমা করতে মানুষকে কোনো হয়রানির মুখোমুখি না হতে হয়। একইভাবে, ছোট ও মাঝারি শিল্পকেও তুলে ধরা হবে।
বিমান পরিবহণ শিল্পে বিশেষ জোর দেওয়া হচ্ছে। বিমানবন্দরগুলির আধুনিকীকরণে জোর দেওয়া হচ্ছে। ভারতীয় আকাশসীমাকে যত বেশিসম্ভব ব্যবহারে ছাড়পত্র। ‘পিপিপি মডেলে বিমানবন্দরগুলির আধুনিকীকরণ করা হবে’
প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম উৎপাদনেও মেক ইন ইন্ডিয়া নীতি। অর্ডিন্যান্স ফ্যাক্টরিগুলির কর্পোরেটাইজেশন হবে।বেসরকারিকরণ নয়। অস্ত্র উৎপাদনে বিদেশি বিনিয়োগের হার বাড়ানো হচ্ছে। ৭৪ শতাংশ পর্যন্ত বিদেশি বিনিয়োগে ছাড়পত্র। কিছু সমরাস্ত্র কোনও অবস্থাতেই বিদেশ থেকে আমদানি হবে না। দেশেই বিশেষ কিছু অস্ত্র তৈরি করা হবে।
৩৩৭৬ টি শিল্প পার্ক চিহ্নিত করা হয়েছে। দেশে বিপুল পরিমাণ কয়লা রয়েছে। বেসরকারি সংস্থাকে কয়লা উত্তোলনে ছাড়পত্র। কয়লায় সরকারের একচেটিয়া আধিপত্য প্রত্যাহার হচ্ছে। খনি এলাকায় উচ্ছেদের পরিকাঠামো বাবদ ৫০ হাজার কোটি বরাদ্দ। নতুন ৫০০ কয়লা ব্লকে বেসরকারি উত্তোলনে ছাড়পত্র। অ্যালুমিনিয়াম শিল্পের ক্ষেত্রেও সাহায্য।
বিনিয়োগে অনুকূল পরিবেশের ভিত্তিতে রাজ্যগুলির তালিকা তৈরি হচ্ছে। আত্মনির্ভর ভারত গড়তে ৮টি বিশেষ ক্ষেত্রে জোর দেওয়া হচ্ছে। কয়লা, খনিজ, প্রতিরক্ষা, বিমানবন্দর সহ ৮ ক্ষেত্রে জোর। শিল্প-পরিকাঠামোর উন্নতিতে বিশেষ জোর।
প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণার পর চতুর্থ দফায় প্যাকেজ ঘোষণা আজ। প্রধানমন্ত্রী সকলকে আত্মনির্ভরশীল হতে পরামর্শ দিয়েছেন। আত্মনির্ভর ভারত গড়তে হলে মেক ইন ইন্ডিয়া প্রকল্পে জোর দিতে হবে।