নয়াদিল্লি: লোকসভা নির্বাচনে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়নি বিজেপি। শরিকদলগুলির ভরসায় তৃতীয় বার কেন্দ্রে সরকার গড়তে হয়েছে। সেই আবহে এবার ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য করলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা বিজেপি-র বর্ষীয়ান নেতা নিতিন গডকড়ী। দলকে সতর্ক করতে শোনা গেল তাঁকে। নিতিন জানিয়েছেন, গত ১০ বছর ধরে মানুষ বিজেপি-র উপর আস্থা রেখেছেন। কংগ্রেস যে ভুল করেছে, বিজেপি-র সেই ভুল না করাই শ্রেয়। পাশাপাশি, জাতপাতের রাজনীতি নিয়েও সতর্ক করলেন দলকে। (Nitin Gadkari)
গোয়ায় বিজেপি-র রাজ্য কমিটির বৈঠক চলছিল। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী প্রমোদ সওয়ন্ত, গোয়া বিজেপি-র সভাপতি সদানন্দ তানাভাডে। সেখানেই এমন মন্তব্য করেন নিতিন। তিনি বলেন, "কংগ্রেস যা করত, আমরাও যদি সেই কাজ করি, তাহলে ওদের ক্ষমতাচ্যুত হওয়া আর আমাদের ক্ষমতাদখলের কোনও গুরুত্ব থাকবে না। দলের কর্মীদের বুঝতে হবে, রাজনীতি আসলে সামাজিক এবং অর্থনৈতিক সংশোধন ঘটানোর মাধ্যম।" (Gadkari Warns BJP)
বৈঠকে নিজের রাজনৈতিক গুরু, লালকৃষ্ণ আডবানির কথাও উল্লেখ করেন নিতিন। বিজেপি-র সঙ্গে অন্য রাজনৈতিক দলের পার্থক্য রয়েছে বলে একসময় মন্তব্য করেছিলেন আডবানি। সেই প্রসঙ্গ টেনে নিতিন বলেন, "আডবানিজি বলতেন, আমরা পরিবর্তনের কাণ্ডারী। অন্য দলগুলির সঙ্গে আমাদের পার্থক্য কোথায়, তা বুঝতে হবে।" দলের কর্মীদের সেই নীতি বোঝাতে হবে বলে জানান নিতিন।
আরও পড়ুন: Sonia Gandhi: আম্বানি-পুত্রের বিয়েতে গেলেন না গান্ধী পরিবারের কেউ, শুভেচ্ছা-বার্তা সনিয়ার
জাতপাতের রাজনীতি নিয়েও নিজের অবস্থান স্পষ্ট ভাবে তুলে ধরেন নিতিন। তাঁর কথায়, "আমি এই নীতি (জাতপাতের রাজনীতি) অনুসরণ করি না। আমি বলেই দিয়েছি, জাতপাতের রাজনীতিতে থাকব না। জাতপাতের কথা বললে জোরে লাথি খেতে হবে।" নিতিন জানান, মানুষের পরিচয় তাঁর মূল্যবোধ, তাঁর জাত নয়।
নিতিন আরও জানান, দুর্নীতিমুক্ত দেশ গড়তে হলে তার জন্য নির্দিষ্ট পরিকল্পনা থাকতে হবে। এবছর লোকসভা নির্বাচনের প্রচারে বার বার সাম্প্রদায়িক রাজনীতি করার অভিযোগ উঠেছে বিজেপি-র বিরুদ্ধে। স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ভাষণে সাম্প্রদায়িক রাজনীতির ছোঁয়া ছিল বলে অভিযোগ করেন বিরোধীরা। সেই নিয়ে নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ দায়ের হলেও, কোনও পদক্ষেপ কেন হয়নি, প্রশ্ন ওঠে। পাশাপাশি, দুর্নীতির দোহাই দিয়ে বিরোধী দলগুলির বিরুদ্ধে কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলিকে রাজনৈতিক স্বার্থে ব্যবহার করার অভিযোগ উঠেছে। তাই তাঁর এই মন্তব্য যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।