নয়াদিল্লি: মুসলিম পরিবারে সন্তানসম্ভবা হিন্দু গর্ভবতী মহিলার বেবি শাওয়ারের বিতর্কিত বিজ্ঞাপনটি তানিস্ক সরিয়ে নিয়েছে। এবার শোনা গেল, গুজরাতের কচ্ছের গাঁধীধামে ভিনধর্মী সম্পর্কের বিজ্ঞাপনে অখুশি কিছু লোকজন তানিস্কের স্টোরে হামলা করেছে। ইন্টারনেটে ভাইরাল হয় তানিস্কের স্থানীয় একটি শোরুমের তরফে ক্ষমাপ্রার্থনা করে দেওয়া একটি নোট। হাতে লেখা সেই নোটে বলা হয়েছে, তানিস্কের লজ্জাজনক বিজ্ঞাপনটির জন্য কচ্ছের হিন্দু সম্প্রদায়ের কাছে আমরা ক্ষমা চাইছি। সেই শোরুমের ম্যানেজারকে ওই নোট লিখতে বাধ্য করা হয়েছে বলে কয়েকটি সূত্রে দাবি করা হয়। যদিও গুজরাত পুলিশ পুরো বিষয়টাই অস্বীকার করেছে।
কচ্ছ-পূর্বের পুলিশ সুপার ময়ূর পাতিলকে উদ্ধৃত করে সংবাদ সংস্থা বলেছে, এরকম কোনও হামলাই ঘটেনি। পুলিশ কর্তাদের উদ্ধৃত করে সংবাদ সংস্থার আরও খবর, নোটটি শোরুমের দরজায় গত ১২ অক্টোবর ঝুলিয়ে দেওয়া হয়। তবে পরে সরিয়েও ফেলা হয়।
ওই বিজ্ঞাপনে দেখানো হয়েছে, একটি মুসলিম পরিবারে তাদের সন্তানসম্ভবা হিন্দু পুত্রবধূর সাধের অনুষ্ঠান হচ্ছে ধুমধাম করে। কিন্তু সোস্যাল মিডিয়ায় ব্যাপক নিন্দা, সমালোচনা হওয়ায় সেটি সরিয়ে নেয় তানিস্ক জুয়েলার্স। এর মধ্যেই গাঁধীধামে তাদের স্টোরে হামলার খবর ছড়ায়। এদিকে বিজেপির তথ্য ও প্রযুক্তি সেলের প্রধান অমিত মালব্য ট্যুইটে গাঁধীধামে তানিস্কের শো রুমে হামলার খবরটি ‘ভুয়ো’ বলে জানান। তিনি একটি জনপ্রিয় ট্যুইটার হ্যান্ডল থেকে করা ট্যুইট শেয়ার করেন, যাতে একটি অডিও ক্লিপ রয়েছে। ক্লিপে তানিস্কের ওই স্টোর ম্যানেজারকে এমন কোনও ঘটনার কথা অস্বীকার করতে শোনা গিয়েছে। একটি সূত্রে দাবি করা হয়েছিল, তানিস্কের ওই স্টোরে হামলা করা হয়, হুমকি দিয়ে ফোনও করা হয় সেখানে। খবর পেয়ে সেখানে পুলিশি পাহারার বন্দোবস্ত হয়। ঘটনাচক্রে বেশ কয়েকটি দক্ষিণপন্থী সোস্যাল মিডিয়া হ্যান্ডল থেকে গাঁধীধামে তানিস্কের আউটলেটের জানালায় একটি ক্ষমা প্রার্থনার চিঠির ছবি শেয়ার করা হয়। তানিস্কের ওই বিজ্ঞাপনকে লজ্জাজনক আখ্যা দিয়ে ক্ষমা চাওয়া হয় চিঠিতে ।