গতকালই ঘটনার নিন্দা করেন দেশের অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন ও বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। দুজনেই জেএনইউয়ের প্রাক্তনী। আজ জয়শঙ্করকে উদ্ধৃত করে সংবাদ সংস্থা এএনআই বলেছে, আমি নিশ্চিত ভাবে বলতে পারি, যখন আমি জেএনইউয়ে পড়তাম, তখন ওখানে কোনও টুকড়ে টুকড়ে বাহিনী দেখিনি।
তিনি বলেছেন, জেএনইউয়ে কী ঘটছে, ছবিতেই দেখেছি। দ্ব্যর্থহীন ভাষায় হিংসার নিন্দা করছি। এটা বিশ্ববিদ্যালয়ের ঐতিহ্য, সংস্কৃতির পরিপন্থী।
পাশাপাশি কেন্দ্রের বর্তমান সরকারের অতীতের নানা সমস্যা সমাধানে ‘আগের তুলনায় আলস্য কম’ বলে মন্তব্য করেন জয়শঙ্কর। বলেন, অতীতে আমাদের যতটা ছিল, তার চেয়ে এখন সরকার চালানোয় আলস্য কম। আমরা দৃঢ় মানসিকতা ও সমাধানের মনোভাব নিয়ে সমস্যাগুলির মুখোমুখি হচ্ছি। আমরা বলছি না, সমস্যাগুলিকে ভবিষ্যতের জন্য তুলে রাখা হোক।
তিনি আরও বলেন, আজ আমরা যা করছি, সেসব অতীতের সমাধান না করা বিভিন্ন সমস্যারই ফল। নাগরিকত্ব ইস্যুটা দেখুন, যার সূত্রপাত ৫০ বছর আগে। সংবিধানের ৩৭০ অনুচ্ছেদ নিয়ে বিতর্কটা ৭০ বছরের। অযোধ্যা ইস্যু। আমরা এগুলি চিরতরে সমাধান করতে চেয়েছি।
চিনের নমুনা উল্লেখ করে জয়শঙ্কর বলেন, চিনের সাফল্যের কাহিনির দিকে তাকানো উচিত আমাদের। এই চিন গোটা দুনিয়াকে বেশি প্রভাবিত করবে, চিনের ভাবনাচিন্তা বোঝাটা জরুরি। সেখানে একজন নেতার সঙ্গে আরেকজনের ভাবনাচিন্তার বোঝাপড়া আছে। চিনের থেকে সবচেয়ে বড় শেখার ব্যাপার হল, একটা সমাজের বর্তমান সমস্যাগুলি পাকাপাকি মীমাংসা করার ইচ্ছা, মনোভাব না থাকলে দুনিয়ায় সে উপরে উঠতে পারে না।