নয়াদিল্লি: লাদাখ সীমান্তে ভারত, চিনের সেনাবাহিনী সংঘাতের মেজাজে পরস্পরের মুখোমুখি দাঁড়িয়ে রয়েছে। উত্তেজনার পারদ চড়ছে গতকাল চিনা প্রেসিডন্ট শি জিনপিং দেশের সেনাবাহিনীকে করোনাভাইরাস উদ্ভূত পরিস্থিতিতে যুদ্ধের প্রস্তুতি নিতে নির্দেশ দেওয়ার পর। এই প্রেক্ষাপটেই শীর্ষ বিজেপি নেতা তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদ সাংবাদিক সম্মেলনে বললেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে ভারতকে চোখ রাঙাতে পারবে না কোনও দেশ।
চিনের সঙ্গে সাম্প্রতিক সীমান্ত বিবাদ, নেপালের সঙ্গেও সীমান্ত ইস্যুতে ভারতের মতভেদ মাথাচাড়া দেওয়া নিয়ে প্রশ্ন করা হলে এমন প্রতিক্রিয়া দেন রবিশঙ্কর। গতকাল কংগ্রেস নেতা রাহুল গাঁধী মোদি সরকারকে চিনের সঙ্গে সীমান্ত বিরোধের ইস্যুতে স্বচ্ছতা দেখাতে হবে বলে দাবি করেছিলেন। তারপরই আজ মুখ খোলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী।
আজ তিনি রাহুল কোভিড-১৯ মোকাবিলায় ভারতের শপথকে দুর্বল করার চেষ্টা করছেন বলেও অভিযোগ করেন।
রবিশঙ্কর এদিন রাহুলকে অস্বস্তিতে ফেলতে একটি পুস্তিকা প্রকাশ করেন, যার শিরোনাম ‘কে কোভিডের বিরুদ্ধে ভারতের লড়াই দুর্বল করার চেষ্টা করছে?’ পুস্তিকায় রাহুলের নানা মন্তব্যের পাশাপাশি করোনাভাইরাস মোকাবিলায় মোদি সরকারের প্রয়াস সম্পর্কে ইতিবাচক রিপোর্ট রয়েছে।
রাহুল গতকাল বলেছিলেন, চারদফার লকডাউনের উদ্দেশ্য ব্যর্থ হয়েছে, মোদিকে কটাক্ষ করেও বলেন, লকডাউন ব্যর্থ হওয়ার পর উনি আর সামনের পায়ে খেলছেন না।
পাল্টা রবিশঙ্কর সাংবাদিকদের বলেন, ১৩৭ কোটি মানুষের দেশ ভারতে ২৬ মে পর্যন্ত ৪৩৪৫টি মৃত্যু হয়েছে, সেখানে চিন বাদে ১৫টি সবচেয়ে বেশি করোনাভাইরাস-কবলিত দেশে মৃত্যু হয়েছে ৩,৪৩,৫৬২ জনের। তিনি জানান, চিনকে তিনি ধরছেন না কারণ তার সম্পর্কে নানা ‘প্রশ্ন’ উঠছে। প্রধানমন্ত্রী মোদি করোনাভাইরাস মোকাবিলায় সাহস দেখিয়েছেন, দেশকে এর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে একজোট করেছেন বলে দাবি করেন তিনি। আরও বলেন, মোদি দেশের স্বার্থরক্ষার প্রশ্নে সবসময় সামনের পায়ে খেলেছেন, আগামীদিনেও তা করে যাবেন।
তাঁর অভিযোগ, কংগ্রেস নেতা চরম দায়িত্বজ্ঞানহীন আচরণ করছেন, মিথ্যাচার, ভুল তথ্য পরিবেশন করে দেশকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছেন। রাহুলের লকডাউন ব্যর্থ হওয়ার অভিযোগ উড়িয়ে তাঁর দাবি, কংগ্রেস-শাসিত রাজ্যগুলিই সবার আগে লকডাউন ঘোষণা করেছে। দেশে প্রথম লকডাউন ঘোষণা করা রাজ্য হল পঞ্জাব, তারপর রাজস্থান। এমনকী প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীদের বৈঠকের আগেই মহারাষ্ট্র, পঞ্জাব প্রথম ৩১ মে পর্যন্ত লকডাউন বাড়িয়েছে।