নয়াদিল্লি: করোনার মতো ব্ল্যাক ফাঙ্গাসকেও মহামারী আইনের আওতায় এনে ব্যবস্থা নেওয়া হোক। আজ বৃহস্পতিবার স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তরফে এই সংক্রমণের বিষয়ে সব রাজ্যগুলিকে চিঠি পাঠানো হয়েছে। সেই চিঠিতে বলা হয়েছে, মহামারী আইনের অধীনে এবার থেকে ব্ল্যাক ফাঙ্গাস সংক্রমণের বিষয়ে সমস্ত তথ্য দিতে হবে রাজ্যগুলিকে।


সংক্রমণের সংখ্যা, চিকিৎসার ব্যবস্থা সম্পর্কে স্বাস্থ্যমন্ত্রককে তথ্য পাঠাতে হবে। পাশাপাশি, ব্ল্যাক ফাঙ্গাসের উপসর্গ চিহ্নিত হলেই করতে রিপোর্ট করতে হবে কেন্দ্রকে। ঠিক যেমনটা করা হচ্ছে করোনাভাইরাসের ক্ষেত্রে। এ ক্ষেত্রে প্রতিদিনই রাজ্যের কাছে করোনা রোগীদের বিস্তারিত বিবরণ দেওয়া হয়।


করোনা আবহের মধ্যেই আতঙ্ক ছড়াচ্ছে ব্ল্যাক ফাঙ্গাস। মিউকরমাইকোসিস বা ব্ল্যাক ফাঙ্গাসে ভুগছে দেশের একাধিক ব্যাঙ্ক। বিভিন্ন রাজ্য থেকে ব্ল্যাক ফাঙ্গাস সংক্রমণের খবর পাওয়া যাচ্ছে। রাজস্থান, মহারাষ্ট্র, তেলেঙ্গনা, পশ্চিমবঙ্গেও এই সংক্রমণের হদিশ মিলেছে। বেশ কিছু মৃত্যুর খবরও মিলেছে। গতকাল রাজস্থান সরকার ব্ল্যাক ফাঙ্গাসকে মহামারী হিসাবে ঘোষণা করেছে। গত সোমবার রাজস্থানের স্বাস্থ্যমন্ত্রী রঘুনাথ শর্মা নির্দেশিকা জারি করে অবিলম্বে ব্ল্যাক ফাঙ্গাসের ব্যবহৃত ওষুধটি ২,৫০০ শিশি কেনার কথা জানায়।


প্রশাসন সূত্রে খবর, জানানো হয়েছে জয়পুরের এই বিখ্যাত হাসপাতালে চলছে ব্ল্যাক ফাঙ্গাসে আক্রান্তদের চিকিৎসা। ইতিমধ্যেই সাওয়াই ম্যান সিং হাসপাতালের বিভিন্ন ওয়ার্ডে প্রায় ১০০ জন ব্ল্যাক ফাঙ্গাস সংক্রমিত রোগী ভর্তি হয়েছেন। ওয়ার্ডে ক্রমেই বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। স্বাস্থ্যসচিব অখিল আরোরা একটি নোটিশ জারি করে রাজ্যস্থান মহামারি আইন ২০২০-র অধীনে একে মহামারী বলে ঘোষণা করেছেন। 


আজ ওই একই পথে হেঁটে ব্ল্যাক ফাঙ্গাসকে মহামারী হিসেবে ঘোষণা করেছে তেলেঙ্গানা সরকার। বুধবার রাজ্য সরকার জানিয়েছে, ১৮৯৭ সালের মহামারী আইন অনুযায়ী, মিউকরমাইকোসিস বা ব্ল্যাক ফাঙ্গাসকে মহামারী হিসেবে ঘোষণা করা হল। উল্লেখ্য, মঙ্গলবারই স্বাস্থ্য দফতরের এক আধিকারিক জানান, ব্ল্যাক ফাঙ্গাসে সংক্রমিত হয়ে সরকারি এবং বেসরকারি হাসপাতালে ৮০ জন চিকিৎসাধীন। রাজ্যে গাঁধী হাসপাতালে এই রোগের চিকিৎসা চলছে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য দফতর।