কলকাতা: রাজ্যে মিউকরমাইকোসিসে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে ১৩। স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর, আরও ১১ জনের তথ্য যাচাই করা হচ্ছে। সরকারি পরিসংখ্যান অনুযায়ী এখনও পর্যন্ত মিউকরমাইকোসিসে মৃত্যু হয়েছে ২ জনের। স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর, আরও ৩ জনের এই কারণে মৃত্যু কি না তা যাচাই করে দেখা হচ্ছে। সূত্রের খবর, প্রতিটি হাসপাতালকে জানানো হয়েছে, সন্দেহভাজন রোগীদের সম্পর্কে সমস্ত তথ্য নিয়মিত পাঠাতে হবে স্বাস্থ্য দফতরে। সেই সমস্ত তথ্য যাচাই করে দেখবে স্বাস্থ্য দফতর।


একে করোনায় রক্ষে নেই, তার উপর দোসর ব্ল্যাক ফাঙ্গাস। দেশে এখনও পর্যন্ত ৩ লক্ষের বেশি মানুষের প্রাণ কেড়েছে মারণ ভাইরাস করোনা এর মধ্যে উদ্বেগ বাড়িয়েছে, ব্ল্যাক ফাঙ্গাস বা মিউকরমাইকোসিসে প্রাণহানির ঘটনা। যার থেকে রেহাই পাচ্ছে না বাংলাও। স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর, এ রাজ্যে এখনও অবধি মিউকরমাইকোসিসে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ১৩। গত ২২ মে এঁদের মধ্যে ২ জনের মৃত্যু হয়েছে। জানা গিয়েছে, মিউকরমাইকোসিসে আক্রান্ত ১৩ জনের মধ্যে ৭ জন বাংলার। ৪ জন বিহার ও একজন ঝাড়খণ্ডের বাসিন্দা। মোট আক্রান্তদের মধ্যে অনেকেই করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন।


করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের ধাক্কায় এমনিতেই বেসামাল দেশ। রোজ লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে মৃত্যু। আর এরইমধ্যে ক্রমশ ভয়ঙ্কর হয়ে উঠছে ছত্রাকজনিত রোগ ব্ল্যাক ফাঙ্গাস বা মিউকরমাইকোসিস। ১০টি রাজ্য সরকারের পাশাপাশি ভয়াবহ এই অসুখকে ইতিমধ্যে মহামারী ঘোষণা করেছে কেন্দ্র। এই পরিস্থিতিতে ব্ল্যাক ফাঙ্গাস ক্রমশ চিন্তার কারণ হয়ে উঠছে এ রাজ্যেও। স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে দাবি, রাজ্যে ব্ল্যাক ফাঙ্গাস অর্থাৎ মিউকরমাইকোসিসে প্রাণ হারিয়েছেন দুজন। ছত্রাকজনিত রোগের মোকাবিলায় ২২ সদস্যের বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠন করেছে স্বাস্থ্য দফতর।


ব্ল্যাক ফাঙ্গাসে আক্রান্ত হওয়ার উপসর্গগুলি কেমন, তা নিয়ে রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের গাইডলাইন জারি করেছে। গাইডলাইনে বলা হয়েছে, চোখ ও নাকে ব্যথা, লাল হয়ে যাওয়া, জ্বর, কাশি, মাথা ব্যথা, শ্বাসকষ্ট, রক্তবমি, মানসিক অস্থিরতা। স্বাস্থ্য দফতরের গাইডলাইনে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, করোনা আক্রান্ত এবং যাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম তাঁদের ক্ষেত্রে প্রাথমিক উপসর্গগুলি হল, সাইনাস, নাক বন্ধ হয়ে যাওয়া, নাক দিয়ে কালচে জল অথবা রক্ত বেরনো, থুতনিতে অথবা মুখের যেকোনও একপাশে ব্যথা, দাঁতে ব্যথা, দাঁত পড়ে যাওয়া, চোয়ালে ও চোখে ব্যথা এক জিনিস দুটো দেখা। স্বাস্থ্য দফতরের গাইডলাইন আরও বলছে, অনিয়ন্ত্রিত ডায়াবেটিস, দীর্ঘদিন স্টেরয়েড ব্যবহার, বেশিদিন ICU-তে থাকলে কোমর্বিডিটি বা অন্যান্য অসুস্থ থাকলেও শরীরে বাসা বাঁধতে পারে ব্ল্যাক ফাঙ্গাস।