কলকাতা: অমিত শাহ কলকাতা ছাড়ার একদিনের মধ্যেই পদ্ম শিবিরে পাল্টা আঘাত হানল তৃণমূল। আজই বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিলেন বিষ্ণুপুর লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল সাংসদ সৌমিত্র খাঁয়ের স্ত্রী সুজাতা মণ্ডল খাঁ। সৌমিত্রের যেদিন সুবুদ্ধি হবে, তিনিও সেদিন ফিরবেন বলে মন্তব্য করেছেন তিনি।

সৌমিত্র-সুজাতা দুজনেই আগে তৃণমূল করতেন, সেখান থেকে যান বিজেপিতে। আদালতের নির্দেশে সৌমিত্র ভোটের সময় বিষ্ণুপুরে ঢুকতে পারেননি, তাঁর হয়ে কার্যত একাই বিজেপির প্রচার সামলান সুজাতা মণ্ডল খাঁ। ভোটের দিনও তৃণমূলের বাহিনীর বিরুদ্ধে একা লড়তে দেখা যায় তাঁকে। ভোটে জেতার জন্য যাবতীয় কৃতিত্ব সৌমিত্র স্ত্রীকেই দিয়েছিলেন। কিন্তু রাজনৈতিক ও পারিবারিকভাবে স্বামীর সঙ্গে তাঁর দূরত্ব তৈরি হচ্ছিল বেশ কিছুদিন ধরে। রাজনৈতিক মহলের ধারণা, অনেকটা সে কারণে সুজাতার এই সিদ্ধান্ত।

এদিকে তৃণমূলে যোগ দেওয়ার পরই সুজাতা মণ্ডল খাঁকে বিবাহ বিচ্ছেদের নোটিস পাঠাতে চলেছেন বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খাঁ।

সুজাতা তৃণমূলে যোগ দিতেই সিদ্ধান্ত, দাবি সৌমিত্রর।

শুভেন্দু অধিকারীকে বিজেপিতে নেওয়ার বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন সুজাতা। বলেন, বিজেপি তৃণমূলের লোকদের মুখ্যমন্ত্রিত্ব, উপমুখ্যমন্ত্রিত্বের লোভ দেখাচ্ছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঝাঁসির রানি লক্ষ্মীবাঈয়ের প্রতিমূর্তি, তিনি তাঁর সেনানী। শুভেন্দু ধান্দাবাজ, তাঁকে নেতা বলে মানি না। তাঁর অভিযোগ, অযোগ্য লোকেদের ঠাঁই দেয় বিজেপি। তৃণমূলে যে সব লোকেরা দুর্নীতিগ্রস্ত, বিজেপিতে গেলে তাঁরা কী করে শুদ্ধ হয়ে যাবেন? আমাদের মত যাঁরা পরিশ্রম করে, রক্ত দেয়, দলের জন্য ত্যাগ করে তাদের জায়গা দেয় না। অন্য দলের থেকে লোক ভাঙিয়ে এনে অযোগ্য লোকেদের জায়গা দেয়। সৌমিত্রও কি তৃণমূলে ফিরবেন? সুজাতা বলেছেন, সৌমিত্রের যেদিন সুবুদ্ধি হবে, বুঝতে পারবেন তিনি কোন দলের যোগ্য সেদিন তিনি ফিরবেন। যে দলের বিরুদ্ধে এতদিনের লড়াই, কেন সেখানেই ফিরলেন? সুজাতা বলেছেন, বিজেপিতে তাঁর সম্মান, মর্যাদা হানি হচ্ছিল, মর্যাদা প্রতি মুহূর্তে ক্ষুণ্ণ হলে সেখানে থাকা যায় না। প্রিয় নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, প্রিয় দাদা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁকে তৈরি করে নেবেন, আশা প্রকাশ করেছেন তিনি।