ভুবনেশ্বর: মাস ঘুরল না। আবার সেই ভয়াবহতা ফিরল ওড়িশায়। গত ১২ জুলাই বালেশ্বরে ফকিরমোহন কলেজের বিভাগীয় প্রধানের বিরুদ্ধে যৌন হেনস্থার অভিযোগ তুলে গায়ে আগুন দেন এক ছাত্রী। পরে হাসপাতালে মৃত্যু হয় তাঁর। ওই ঘটনায় বিভাগীয় প্রধান সমীরকুমার সাহু ও কলেজের অধ্যক্ষ দিলীপকুমার ঘোষকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এবার ওড়িশার বাগগড় জেলায় ১৩ বছরের কিশোরীর গায়ে আগুন লাগিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টার অভিযোগ উঠল।  হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পরও শেষ রক্ষা হয়নি।  ভয়ঙ্কর ঘটনাটি ঘটেছে ওড়িশার বারগড় জেলার গাইসিলাত থানা এলাকায়।

অভিযোগ, রবিবার নিজের গায়ে পেট্রল ঢেলে আগুন লাগিয়ে দেয় অষ্টম শ্রেণির এক ছাত্রী। মাঠ থেকে তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায় গ্রামবাসীরা।  পুলিশ সূত্রে খবর, ওই কিশোরী মামার বাড়িতে থাকত। কী কারণে এই ঘটনা, খতিয়ে দেখা হচ্ছে। শেষ পাওয়া খবর অনুসারে, গুরুতর অবস্থায় সম্বলপুর জেলার বুরলার ভিআইএমএসএআর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে কিশোরীকে।  অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানায় হাসপাতাল। পরে সেখানেই তাঁর মৃত্যু হয়। 

গত ১৯ জুলাই, বালাঙ্গায় তিন দুর্বৃত্ত এক নাবালিকাকে আগুন ধরিয়ে দেয় বলে অভিযোগ  ওঠে। দেহের অধিকাংশই পুড়ে যায় তার।  গত ৫ আগস্ট দিল্লির এইমস-এ মৃত্যু হয় নাবালিকার।  তবে  মৃত্যুর কয়েক ঘন্টা পরেই  পুলিশ জানায়, এই ঘটনায় অন্য কোনও ব্যক্তি জড়িত নয়।  এই ঘটনা নাকি'আত্মহত্যার চেষ্টা'। এরপর মৃতার  বাবাও অন্য কারও এই ঘটনায় যুক্ত থাকার অভিযোগ  উড়িয়ে দিয়ে দাবি করেন । বলেন , তাঁর মেয়ে মানসিক যন্ত্রণার কারণেই আত্মহত্যা করেছে। এরপর গত ৬ অগাস্ট ওড়িশার কেন্দ্রপাড়া জেলায়  এক কলেজ ছাত্রীর পোড়া দেহ পাওয়া যায়।