ভুবনেশ্বর: দেশে বর্ষা ঢুকে পড়লেও, তাপমাত্রা উত্তরোত্তর বেড়েই চলেছে। তাপপ্রবাহের প্রকোপে ইতিমধ্যেই একাধিক মৃত্যুর ঘটনা সামনে এসেছে। সেই আবহে ওড়িশায় মাত্র ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে অন্তত ৫৪ জনের মৃত্যু ঘিরে শোরগোল। তাপপ্রবাহের জেরেই তাঁদের মৃত্যু হয়েছে বলে দাবি উঠছে। সরকারি ভাবে রাজ্য সরকার যদিও এখনও তাপপ্রবাহের জেরে ন'জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে। কিন্তু মৃতদের পরিবারের দাবি, তীব্র দহনের সঙ্গে যুঝতে না পেরেই মারা গিয়েছেন প্রিয়জনেরা। (Odisha Heatwave Death)


Special Relief Commissioner (SRC)-র তরফে জানানো হয়েছে, যে ৫৪ জনের মৃত্যু হয়েছে গত ৪৮ ঘণ্টায়, তাঁদের অধিকাংশই ওড়িশার পশ্চিমের বিভিন্ন জেলার বাসিন্দা। গত ৪৮ ঘণ্টায় সবচেয়ে বেশি মৃত্যু হয়েছে বলাঙ্গিরে। সেখানে সানস্ট্রোকে ২০ জন মারা গিয়েছেন বলে দাবি সামনে এসেছে। সম্বলপুর থেকে ১৫ জনের মৃত্যুর খবর সামনে এসেছে। ঝারসুগুড়া, সোনপুর থেকে মোট ১২ জন, সুন্দরগড় থেকে দু'জন, কেওনঝড় থেকে চার জন এবং বালেশ্বর থেকে এক জনের মৃত্যুর খবর উঠে এসেছে এখনও পর্যন্ত। (Climate Change)


SRC-র এক সিনিয়র আধিকারিক সংবাদমাধ্যমে বলেন, "সানস্ট্রোকে মৃত্যুর খবর প্রকাশের আগে এলাকার রাজস্ব আধিকারিক এবং স্থানীয় মেডিক্যাল অফিসারকে দিয়ে যৌথ তদন্ত চালানো হয়, যাতে মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যায়। এই মুহূর্তে পরিস্থিতির দিকে সর্বক্ষণ নজরদারি চালাচ্ছে SRC." হিটস্ট্রোকে যাঁদের মৃত্যু হয়েছে বলে সন্দেহ, তাঁদের সকলের ময়নাতদন্তের নির্দেশ দিয়েছে ওড়িশা সরকার। 


আরও পড়ুন: ABP CVoter Exit Poll Result: অসমে হিমন্ত বিশ্ব শর্মার ম্যাজিক? নাকি উলটপুরাণ? কী পূর্বাভাস এবিপি নিউজ়-সি ভোটার সমীক্ষায়?


সবমিলিয়ে এখনও পর্যন্ত ওড়িশায় হিটস্ট্রোকে ৯৬ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে খবর। তবে এর মধ্যে মাত্র ন'জনেরই হিটস্ট্রোকে মৃত্যু হয়েছে বলে সিলমোহর দিয়েছে রাজ্য সরকার। হিটস্ট্রোকে মৃত্যু হয়নি বলে ছয় জনকে চিহ্নিত করেছে তারা। এখনও পর্যন্ত ৮১ জনের মৃত্যুর কারণ জানা যায়নি। জেলা স্তরে বিষয়টি আটকে রয়েছে বলে SRC সূত্রে খবর। হিটস্ট্রোকে মৃত্যুতে ওড়িশা সরকারের তরফে মৃতের পরিবারকে মাথাপিছু ৫০ হাজার টাতা ক্ষতিপূরণের ঘোষণা করা হয়েছে। 



 তাপপ্রবাহের জেরে মৃত্যুর ঘটনায় ইতিমধ্য়েই উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক হয়েছে রাজ্যে। মুখ্যসচিবের তরফে জেলসাশাসকদের তাপপ্রবাহ সতর্কতা জারি করতে এবং সেই মতো ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। মৌসম ভবন জানিয়েছে, ওড়িশার পশ্চিম অংশে আরও কিছু দিন তাপপ্রবাহ চলবে। উপকূলবর্তী এলাকায় দাবদাহ চলবে। এমন পরিস্থিতিতে ওড়িশা স্বাস্থ্য দফতররে তরফেও তৎপরতা শুরু হয়েছে। জরুরি পরিস্থিতি সবকিছু সামাল দেওয়ার জন্য তৈরি থাকতে বলা হয়েছে।