বালেশ্বর: বালেশ্বরে কাছে ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনায় আঁচ পৌঁছেছে পড়শি দেশেও। করমণ্ডল এক্সপ্রেস, বেঙ্গালুরু-হাওড়া এক্সপ্রেস এবং মালগাড়ি- একসঙ্গে তিনটি ট্রেন দুর্ঘটনার মুখে পড়ে। মৃত্যু হয়েছে আড়াইশোরও বেশি যাত্রীর। জখম হয়েছেন হাজারেরও বেশি। জখমদের মধ্যে রয়েছেন বাংলাদেশের বাসিন্দাও। তাঁদের খোঁজখবর নেওয়ার জন্য রবিবার ওড়িশার বালাশোরে এসেছেন বাংলাদেশের এক উচ্চপদস্থ কূটনীতিক। বালাশোরের সোরো হাসপাতালে এসেছিলেন তিনি। শুক্রবারের দুর্ঘটনায় জখম বাংলাদেশি নাগরিকদের প্রয়োজনীয় সাহায্যের জন্যই এই পরিদর্শন বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশি কূটনীতিক শেখ মারেফত আমি ইসলাম। 


ওই ট্রেনে সফর করেছিলেন বেশ কয়েকজন বাংলাদেশি নাগরিক। তাঁরা আপাতত ওড়িশার বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। দুর্ঘটনাগ্রস্ত বাংলাদেশি নাগরিকদের মধ্যে কেউ মারা যাননি বলে সূত্রের খবর। পিটিআই সূত্রের খবর, শেখ মারেফত আমি ইসলাম বলেন, 'একজন বাংলাদেশি যাত্রী ভদ্রক হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়েছিলেন। আরেকজনকে কটকে SCB মেডিক্যাল কলেজে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।' শনিবার বালেশ্বরের একটি হাসপাতালে গিয়েছিলেন তিনি। 


দুর্ঘটনায় জখম কোনও বাংলাদেশি নাগরিকের বিষয়ে কোনও খোঁজ দেওয়ার জন্য কলকাতার ডেপুটি হাইকমিশনে যোগাযোগ করতে বলেছেন তিনি। ৯০৩৮৩৫৩৫৩৩-এই নম্বরে যোগাযোগ করতে হবে। বহু যাত্রীর দেহ রয়েছে ওড়িশার একাধিক হাসপাতালে-মর্গে। তাঁদের মধ্যে কোনও বাংলাদেশের নাগরিক রয়েছেন কিনা তা খোঁজ করে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশি কূটনীতিক শেখ মারেফত আমি ইসলাম। চিকিৎসা এবং অন্যান্য বিষয়ে সাহায্যের জন্য ওড়িশার সরকারকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন তিনি প্রতিবছর বাংলাদেশ থেকে বহু ব্যক্তি চিকিৎসার জন্য ভারতে আসেন। তাঁদের একটি বড় অংশ চিকিৎসার জন্য দক্ষিণ ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে যান। সেই কারণেই চেন্নাইগামী এই ট্রেন দুর্ঘটনায় পড়ায় তার আঁচ পৌঁছেছে বাংলাদেশেও।


কোন কোন ট্রেন বাতিল:
দুর্ঘটনার জেরে রবিবারও বাতিল করা হয়েছে, দক্ষিণ-পূর্ব রেলের আপ ও ডাউন লাইনের একাধিক দূরপাল্লার ট্রেন। এক বিজ্ঞপ্তিতে দক্ষিণ-পূর্ব রেলের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, বাতিল ট্রেনের তালিকায় রয়েছে,
হাওড়া-পুরী বন্দে ভারত এক্সপ্রেস
হাওড়া-সেকেন্দ্রাবাদ ফলকনুমা এক্সপ্রেস
শালিমার-চেন্নাই করমণ্ডল এক্সপ্রেস
হাওড়া-পুরী জনশতাব্দী এক্সপ্রেস
হাওড়া-পুরী শতাব্দী এক্সপ্রেস
হাওড়া-যশবন্তপুর এক্সপ্রেস
শালিমার-হায়দরাবাদ ইস্ট কোস্ট এক্সপ্রেস
সাঁতরাগাছি-তিরুপতি এক্সপ্রেস
শালিমার-পুরী জগন্নাথ এক্সপ্রেস
হাওড়া-ভদ্রক এক্সপ্রেস
দিঘা-পুরী এক্সপ্রেস
পুরী-শিয়ালদা দুরন্ত এক্সপ্রেস  সহ বেশ কিছু ট্রেন। 
এছাড়া, বেশ কিছু ট্রেনকে টাটানগর দিয়ে ঘুরিয়ে চালানো হচ্ছে। যার জেরে চূড়ান্ত দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে। 


আরও পড়ুন: গরম পড়লেই ভরসা আখের রসে? কতটা কাজে লাগে? আদৌও উপকার রয়েছে?