নয়াদিল্লি: নয় নয় করে কেটে গিয়েছে ৪৮ ঘণ্টা। বালেশ্বর ট্রেন দুর্ঘটনার কারণ নিয়ে এখনও জারি ধন্দ। সেই আবহেই এ বার CBI তদন্তের দাবি তুলল রেলমন্ত্রক। তিনটি ট্রেনের দুর্ঘটনাগ্রস্ত হওয়ার কারণ খতিয়ে দেখতে CBI তদন্তের দাবি (CBI Probe)। রবিবার সন্ধেয় জানালেন রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণো (Ashwini Vaishnaw)। 


ওড়িশার বালেশ্বরে ট্রেন দুর্ঘনার পর থেকেই কারণ নিয়ে নানা তত্ত্ব সামনে আসছে। এমনকি এর নেপথ্যে নাশকতার যোগ থাকতে পারে বসেও জল্পনা শুরু হয়েছে। পাশাপাশি, মেন লাইনে সিগনাল থাকার পরও লুপ লাইনে করমণ্ডল এক্সপ্রেসকে ঢোকানো হল কেন, উঠছে প্রশ্ন। ট্রেনে কেন দুর্ঘটনা প্রতিরোধী যন্ত্র 'কবচ' ছিল না, তা নিয়েও প্রশ্নের মুখে পড়েছে সরকার।


রবিবার সংবাদমাধ্যমে CBI তদন্তের সুপারিশ করার কথা জানান অশ্বিনী। তিনি বলেন, " যা ঘটেছে, তা মাথায় রেখে, এখনও পর্যন্ত যা তথ্য মিলেছে, সব কিছুকে সামনে রেখেই রেলের বোর্ড CBI তদন্তের সুপারিশ করেছে। তদন্তভার CBI-এর হাতে তুলে দেওয়ার আর্জি জানানো হয়েছে।"



আরও পড়ুন: Odisha Train Accident: ট্রেন দুর্ঘটনার গায়েও সাম্প্রদায়িকতার রং, অপপ্রচার সোশ্যাল মিডিয়ায়, কড়া পদক্ষেপের হুঁশিয়ারি ওড়িশা পুলিশের


এর পাশাপাশি, রবিবার ওড়িশা সরকারের তরফে ট্রেন দুর্ঘটনায় মৃতের সংখ্যাতেও সংশোধন করা হয়। ২৯৫ বা ২৮৮ নয়, বালেশ্বর ট্রেন দুর্ঘটনায় ২৭৫ জন মারা গিয়েছেন বলে দাবি ওড়িশা সরকারের। আহতের সংখ্যা ১ হাজার ১৭৫ বলে জানানো হয়েছে। যদিও সঠিক পরিসংখ্যান নিয়েও ধন্দ রয়েছে। 


রবিবারই বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মৃতের সংখ্যা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। তিনি জানান, এখনও প্রায় ২০০টি দেহ শনাক্ত করা যায়নি। বাংলা থেকেই ৬২ জন মৃতের নামের তালিকা পাওয়া গিয়েছে। এখনও পর্যন্ত পরিস্থিতি যে দিকে এগোচ্ছে, তাতে হতাহত বাড়বে বলেই ইঙ্গিত মিলছে। তার পরও পরিসংখ্যান কী করে কমছে, প্রশ্ন তোলেন তিনি। 



যদিও রেলের দাবি, সিগনাল এবং পয়েন্ট বিভ্রাটের জেরেই দুর্ঘটনা ঘটেছে বলে প্রাথমিক তদন্তে মিলেছে ইঙ্গিত। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি শনিবারই দোষীরা শাস্তি পাবে বলে মন্তব্য করেন। যদিও রেলের পরিকাঠামো নিয়েই উঠছে প্রশ্ন। বছর বছর রেকর্ড মুনাফা সত্ত্বেও কেন পরিকাঠামো এত দুর্বল, উঠছে প্রশ্ন।