নয়াদিল্লি: করোনার (Corona) ওমিক্রন (Omicron) ভ্যারিয়েন্টে প্রথম মৃত্যু বিশ্বে। নিশ্চিত করলেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। বিবিসি-র রিপোর্ট অনুযায়ী বরিস জনসন (Boris Johnson) জানিয়েছেন, ব্রিটেনে এক ব্যক্তি ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে।

  



এদিন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বলেন, "ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্ত হয়ে অনেকেই হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। খুবই দুঃখজনক ঘটনা যে একজন রোগীর ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে। ভাইরাসের এই ভ্যারিয়েন্ট ভয়ঙ্কর নয় এমন ধারণা সরিয়ে রাখা উচিত। যেসব জায়গায় জনসংখ্যা বেশি সেখানেই ছড়াতে পারে করোনা। তাই এই পরিস্থিতি দ্রুত বুস্টার নিয়ে নিতে হবে।'' তিনি জানিয়েছেন, লন্ডনে মোট করোনা আক্রান্তদের মধ্যে ৪০ শতাংশের শরীরে ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টের হদিশ পাওয়া গিয়েছে। গতকালই তিনি জানিয়েছেন ডিসেম্বর মাসের মধ্যে ইংল্যান্ডের সব প্রাপ্ত বয়স্কদের বুস্টার দেওয়ার কাজ শেষ হবে।  


ডেল্টা  ভ্যারিয়েন্ট এই বছরের শুরুতে ভারতে দ্বিতীয় ঢেউয়ের সময় সবথেকে বেশি থাবা বিস্তার করে। বিশ্বের বেশিরভাগ দেশে এই বছরে করোনভাইরাস সংক্রমণের জন্য দায়ী ছিল এই ডেল্চা । কিন্তু দক্ষিণ আফ্রিকার ওমিক্রনের হদিশ মেলার পর দেখা যায়, এই ভ্যারিয়েন্টের বিপুল সংখ্যক মিউটেশন হয়েছে। গত মাসে ওমিক্রনের প্রথম কেসের হদিশ মেলার পর দক্ষিণ আফ্রিকার দেশগুলোর ওপর ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে শুরু করে বিভিন্ন দেশ। এর বিস্তারকে আটকানোর জন্য  অভ্যন্তরীণ বিধিনিষেধ পুনরায় চালু হয়। হু (WHO) বলছে যে, ৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত ওমিক্রন ৬৩টি দেশে ছড়িয়ে পড়েছে। দক্ষিণ আফ্রিকায় দ্রুত সংক্রমণ লক্ষ করা গিয়েছে।


দক্ষিণ আফ্রিকা, বেলজিয়াম, ইজরায়েলের পাশাপাশি ওমিক্রনের দাপটে কার্যত ত্রাহি ত্রাহি অবস্থা ব্রিটেনের। করোনার নতুন এই ভ্যারিয়েন্ট কতটা মারাত্মক, প্রাণঘাতী হতে পারে তা উঠে এসেছে একটি আন্তর্জাতিক সমীক্ষায়। তাদের গবেষণা বলছে ঠিকমতো সতর্কতা না নেওয়া হলে, আগামী বছরের এপ্রিলের মধ্যে ব্রিটেনে ২৫ থেকে ৭৫ হাজার জনের মৃত্যু হতে পারে। ওমিক্রন যে কতটা ভয়ঙ্কর হয়ে উঠতে পারে, তার ইঙ্গিত হল, করোনার বিটা ভ্যারিয়েন্টে মিউটেশন ছিল ৬টি, ডেল্টায় ১০টি আর আর সেখানে এই ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টটি অন্তত ৩২টি মিউটেশন ঘটিয়েছে। সূত্রের খবর, এই পরিস্থিতিতে ওমিক্রনের আরও একটি প্রজাতির সন্ধান পেয়েছেন বিজ্ঞানীরা। যাকে এখনও সনাক্ত করা বেশ কঠিন। দক্ষিণ আফ্রিকা, অস্ট্রেলিয়া এবং কানাডায় হদিশ মিলেছে।