নয়া দিল্লি: করোনার (Coronavirus) নয়া প্রজাতি নিয়ে চিন্তা বাড়ছে দেশে (India)। এই প্রেক্ষাপটে দেশে কিছুটা বাড়ল ওমিক্রন (Omicron) আক্রান্তের সংখ্যা। শুক্রবার এই খবর জানিয়েছে কেন্দ্র। দেশে ওমিক্রন আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে হল ২৫, এমনটাই জানাল কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক (Ministry Of Health)।


শুক্রবার সাংবাদিক বৈঠকে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের যুগ্মসচিব লব আগরওয়াল জানিয়েছেন, ‘ভারতে যে ২৫ জন রোগীর শরীরে সংক্রমণ ধরা পড়েছে তাঁদের উপসর্গ গুরুতর নয়, অধিকাংশ উপসর্গই মৃদু।’ চিন্তা বাড়ল অন্য জায়গায়। নতুন এই ভ্যারিয়েন্টে এবার আক্রান্ত হল ৩ বছরের এক শিশু। শুক্রবার মহারাষ্ট্রে সাত ওমিক্রন আক্রান্তের হদিশ মেলে। তাদের মধ্যে রয়েছে এই শিশুও। 


যদিও এর আগে  মঙ্গলবার বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (World Health Organization) তরফে জানান হয়েছে ইউরোপের দেশগুলি থেকে আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধির নেপথ্যে রয়েছে শিশুদের সংক্রমণ বৃদ্ধি। হু (WHO)- জানিয়েছে ৫ থেকে ১৪ বছর বয়সি শিশুরা বেশি আক্রান্ত হচ্ছে এবং সংক্রমণের সর্বোচ্চ হারের জন্য দায়ী এই বয়সের শিশুরাই।  ভারতেও কি তেমন ট্রেন্ড এল, এর উত্তর অবশ্য জানা যাবে আগামী দিনে। তবে আক্রান্তদের কড়া নজরদারীতেই রাখা হচ্ছে।







কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের যুগ্মসচিব লব আগরওয়াল বলেন, গত ২৪ নভেম্বর পর্যন্ত মাত্র দুটি দেশে ওমিক্রন সংক্রমণের কথা জানা গিয়েছিল। কিন্তু, এখন বিশ্বের ৫৯টি দেশে ওমিক্রন ছড়িয়ে পড়েছে। এই ৫৯টি দেশে ওমিক্রন আক্রান্তের সংখ্যা ২ হাজার ৯৩৬। । এর পাশাপাশি সম্ভাব্য কেস রয়েছে ৭৮ হাজার ০৫৪। 


এদিকে ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্ট নিয়ে উদ্বেগের মধ্যেই দেশে দিন দিন মাস্ক পরার প্রবণতা কমছে। এনিয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা সতর্ক করছে বলে জানান নীতি আয়োগের সদস্য(স্বাস্থ্য) ভিকে পল। আজ এক সাংবাদিক বৈঠকে তিনি বলেন, মাস্ক ব্যবহারের প্রবণতা কমছে। কিন্তু আমাদের মনে রাখতে হবে যে, ভ্যাকসিন ও মাস্ক- দুই-ই গুরুত্বপূর্ণ। বিশ্বের সার্বিক পরিস্থিতি থেকে আমাদের শেখা উচিত। মাস্কের ব্যবহার কমে যাওয়া নিয়ে সতর্ক করছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। তাছাড়া বিশ্বজুড়ে ওমিক্রন সংক্রমণের পরিস্থিতিও উদ্বেগজনক। কাজেই এই সময়ে মাস্ক সরানো উচিত নয়।