নয়া দিল্লি: দক্ষিণ কোরিয়ায় প্রায় একদিনে প্রায় ৬.২ লক্ষ নতুন করে আক্রান্ত হয়েছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ছাড়া এক দিনে কোনও দেশে এত সংখ্যক মানুষ একদিনে আক্রান্ত হয়নি। গত সাত দিনে দক্ষিণ কোরিয়াতে ২৪ লক্ষ আক্রান্ত হয়েছে নতুন করে। চিনে অতিমারি শুরুর থেকে এই প্রথম একদিনে ৩ হাজার জন আক্রান্ত হয়েছে। এদিকে এর পাশাপাশি গিত সাত দিনে জার্মানি, ভিয়েতনাম, ফ্রান্স এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রেও রেকর্ড সংখ্যক আক্রান্ত হয়েছে।
প্রতিটি দেশ বিভিন্ন চ্যালেঞ্জের সঙ্গে মুখোমুখি হওয়ায় সতর্ক করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা প্রধানও। তিনি সাফ জানিয়েছেন যে এখনও অতিমারীর শেষ হয়নি। কিন্তু দেশে করোনা পরীক্ষা কম হচ্ছে। কিন্তু এর মধ্যেও আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েছে অনেকটাই। তাই আমরা যেটা দেখছি সেটা একটি হিমশৈলের উপরিভাগ মাত্র। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) মতে, গত সাত দিনে নতুন রিপোর্ট করা মামলায় দক্ষিণ কোরিয়া বিশ্বের শীর্ষে রয়েছে।
এদিকে ইতালিতেও বেড়েছে কোভিড। যদিও করোনভাইরাস বিধিনিষেধগুলিকে পর্যায়ক্রমে প্রত্যাহার করার পরিকল্পনা ঘোষণা করেছে সে দেশের সরকার। অন্যদিকে সোমবার হোয়াইট হাউস জানিয়েছে, COVID-19-এর ওমিক্রন BA.2 প্রজাতি ছড়িয়ে পড়ছে মার্কিন মুলুকে।
ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) জুড়ে ফের বাড়ছে কোভিড-১৯। চিন ও দক্ষিণ কোরিয়াতে প্রবলবেগে বাড়ছে করোনা। ইউরোপীয় মেডিসিন এজেন্সি বলেছে ইউনিয়নের দেশগুলি বিধিনিষেধ তুলে নিচ্ছে। বৃহস্পতিবার সিনহুয়া সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছে, যে যদিও অনেক দেশ বিধিনিষেধ তুলে নিচ্ছে। লক্ষ্য করা হয়েছে যে বেশ কয়েকটি রাজ্যে সংক্রমণের হার আবার বাড়ছে। আংশিকভাবে বেশ কিছু জায়গায় বাড়ছে ওমিক্রন।"
এই করোনা যদি ক্রমশ বাড়তে থাকে তাহলে স্বাস্থ্য পরিকাঠামোতে চাপ বৃদ্ধি পাবে। এও বলা হয়েছে, বর্তমানে এমন কোন প্রমাণ নেই যে টিকা দেওয়ার পরে সংক্রমণ হবে না। তবে ভ্যাকসিন নিলে হাসপাতালে ভর্তি ও মৃত্যু সংখ্যা কম করে। ইউরোপীয় ইউনিয়নগুলিতে অনুমোদন পেয়েছে সেগুলি হল Pfizer/BioNTech, Moderna, AstraZeneca, Janssen এবং Novavax টিকাগুলি।