কলকাতা: লস্কর-ই-তৈবা জঙ্গি সন্দেহে কর্ণাটক থেকে এনআইএ-র জালে আরও এক। ৫ দিনের রিমান্ডে আনা হচ্ছে কলকাতায়। সূত্রের খবর, ধৃত লস্কর জঙ্গি তানিয়া পরভিনের সঙ্গে যোগাযোগ ছিল ধৃত সন্দেহভাজন সৈয়দ ইদ্রিস নবি সাব ওরফে মুন্নার। যোগাযোগ ছিল পাক জঙ্গিদের সঙ্গেও।
মোবাইল ফোনের সূত্র ধরেই তাকে এনআইএ- কলকাতা শাখা জালে তুলেছে বলে খবর। কর্ণাটকের সিরসি এলাকায় বাড়ি থেকে মঙ্গলবার গ্রেফতার করা হয় মুন্না নামে সন্দেহভাজন জঙ্গিকে। এনআইএ সূত্রে খবর, গত সেপ্টেম্বরে লস্কর জঙ্গি তানিয়া পারভিনকে গ্রেফতারের পর বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি চালিয়ে বাজেয়াপ্ত হয় প্রচুর মোবাইল ফোন। সেই মোবাইল থেকেই উঠে আসে ইদ্রিস নবি ওরফে মুন্নার নাম!
কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে খবর, মাসখানেক আগে মুন্নার ফোন বাজেয়াপ্ত করে পাঠানো হয় ফরেন্সিক টেস্টে। সেই পরীক্ষায় চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে আসার পরেই তাকে গ্রেফতার করা হয়। কী তথ্য মিলেছে, মুন্নার মোবাইল ফোনে? এনআইএ সূত্রে দাবি, হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপের মাধ্যমে পাকিস্তানে লস্কর নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখত সে। কলকাতায় না এলেও তানিয়া পারভিনের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ ছিল তার।
পাকিস্তানের জঙ্গি সংগঠন লস্করের সঙ্গে সম্পর্কের অভিযোগে গত মার্চে উত্তর ২৪ পরগনার বাদুড়িয়ার বাসিন্দা তানিয়া পরভিনকে গ্রেফতার করে পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের এসটিএফ। তানিয়া আপাতত জেল হেফাজতে। পরে এই মামলার তদন্তভার নেয় এনআইএ। তানিয়ার জঙ্গি-যোগের তদন্তে সেপ্টেম্বরে বেঙ্গালুরু যায় এনআইএ। দুমাস পর এল সাফল্য।