মুম্বই: নীরবে তাণ্ডব ছড়াচ্ছে মিসলস (Measles)। বাণিজ্যনগরীতে (Mumbai) এদিনও ১ বছরের এক শিশুর (kid) মৃত্যু (death) হয়েছে। সব মিলিয়ে এখনও পর্যন্ত এই রোগে মৃতের সংখ্যা ১১। তবে পুরসভার (BMC) পরিসংখ্যান বলছে, এই মুহূর্তে আরও ২০ জনের থাবা বসিয়েছে মিসলস। মোট আক্রান্তের সংখ্যা ২২০।



কী পরিস্থিতি?
মঙ্গলবার বৃহমুম্বই মিউনিসিপাল কর্পোরেশনের তরফে জানানো হয়েছে, মৃত শিশু আদতে পালঘর জেলার নালাসপোরা(পূর্ব) এলাকার বাসিন্দা। চিকিৎসার জন্য প্রথমে একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল তাকে। প্রাথমিক চিকিৎসার পর মুম্বইয়ের সরকারি হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয় শিশুটিকে। কিন্তু সেখানে রেসপিরেটরি ফেলিওর হওয়ায় সোমবার তাকে ভেন্টিলেশনে দিতে হয়েছিল। মঙ্গলবার সেখানেই মারা যায় বাচ্চাটি। বৃহমুম্বই মিউনিসিপাল কর্পোরেশন যে স্বাস্থ্য বুলেটিন দিয়েছে তাতে মৃত্যুর কারণ হিসেবে আপাতত 'মিসলস উইথ ব্রঙ্কোনিউমোনিয়া'-কেই কারণ হিসেবে তুলে ধরা হয়। 

কোথায় কী রকম?
এই মুহূর্তে দেশের বাণিজ্য় রাজধানীর ২৪টি ওয়ার্ডের ১০টি ওয়ার্ডে মিসলসের প্রকোপ ধরা পড়েছে। আরও নির্দিষ্ট করে বললে ওই দশটি ওয়ার্ডের ২১টি জায়গায় চোখরাঙানি বেড়েছে রোগের। যাঁদের সংক্রমণ ধরা পড়ছে তাঁদের আইসোলেশন বা চিকিৎসার জন্য আটটি হাসপাতালে ভর্তি করা হচ্ছে। তালিকায় রয়েছে কস্তুরবা হাসপাতাল, শিবাজি নগর ম্যাটারনিটি হোম, ভারতরত্ন ডক্টর বাবাসাহেব অম্বেদকর হাসপাতাল, রাজাওয়াড়ি হাসপাতাল, শতাব্দী হাসপাতাল, কুরলা ভাবা হাসপাতাল, ক্রান্তিজ্যোতি সাবিত্রীভাই ফুলে হাসপাতাল এবং সেভেন হিলস হাসপাতাল। পরিস্থিতি পর্যালোচনা করতে এদিন দক্ষিণ মুম্বইয়ের রাজ্য সচিবালয়ে বৈঠক ডাকেন মহারাষ্ট্রের স্বাস্থ্য়মন্ত্রী তানাজি সাওয়ান্ত। স্বাস্থ্য দফতরের আধিকারিকদের পাশাপাশি সেখানে হাজির ছিলেন বৃহমুম্বই মিউনিসিপাল কর্পোরেশনের প্রতিনিধিরাও। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তরফেও মিতা ভাসি এবং অরুণ গায়কোয়াড় নামে দুজন চিকিৎসক আসেন বৈঠকে। মুম্বইয়ের মিসলস ছবি বিশ্লেষণ করার পাশাপাশি প্রশাসনের তরফে কী কী করণীয়, তা নিয়েও সম্ভবত আলোচনা হয়েছে বৈঠকে। ঘটনা হল, কোভিড-অতিমারীর সময় আক্রান্তের সংখ্যার নিরিখে গোটা দেশে টানা শীর্ষে ছিল মহারাষ্ট্র। মৃতের পরিসংখ্যানও ভয়ঙ্কর উদ্বিগ্ন করে রেখেছিল তৎকালীন উদ্ধব ঠাকরে প্রশাসনকে। মুম্বইয়ের ছবিটাও স্বস্তি দেয়নি বড় সময়। তবে লাগাতার লড়াইয়ের পর নভেল করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে অনেকটাই সাফল্যের মুখ দেখে বাণিজ্য রাজধানী। মিসলসের দাপট খানিক বাড়তেই তাই আগাম প্রস্তুতি নিয়ে রাখতে চাইছে রাজ্য় সরকার। পরিস্থিতি হাতের বাইরে বেরোনোর আগে যাতে ব্যবস্থা করা যায়, সেদিকেই লক্ষ্য প্রশাসনের।


আরও পড়ুন:'তৃণমূলের বিধায়ক, সাংসদরা আমার সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন ', ফের বিস্ফোরক মিঠুন